খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে গবেষণা কাজের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ মার্কারি ও সিএন অ্যানালাইজার যন্ত্র। বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে স্থাপিত এই যন্ত্র পরিদর্শন এবং নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পর্যবেক্ষণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এই যন্ত্র দুটির মধ্যে মার্কারি অ্যানালাইজার দ্বারা জল, বায়ু, মাটি, খাদ্য, প্রসাধনী, রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদিতে পারদের উপস্থিতি ও পরিমাণ পরিমাপ করা সম্ভব হবে। অপর দিকে সিএন অ্যানালাইজার দ্বারা কার্বন, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন এবং সালফার বিশ্লেষণ করা যাবে।
এদিকে আজ সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে মার্কারি ও সিএন অ্যানালাইজার যন্ত্র দুটি ব্যবহার সংক্রান্ত এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, নতুন নতুন যন্ত্র ও প্রযুক্তির ব্যবহার গবেষণার কাজে ভালো সহায়ক হচ্ছে। এসব নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে উন্নতমানের গবেষণা সম্পাদন ও তা ব্যবহারের দিগন্ত প্রসারিত হবে। মার্কারি ও সিএন অ্যানালাইজার যন্ত্র দুটির ব্যবহার উন্নত গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণাকে তাৎপর্যপূর্ণ করতে যন্ত্র দুটি ব্যবহার করে জীববিজ্ঞান স্কুলের ৭টি ডিসিপ্লিনসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ডিসিপ্লিনের গবেষকবৃন্দ উপকৃত হবেন।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় উৎকর্ষের পথে যাত্রা শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগার নিরলস ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে চলেছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন উৎকৃষ্ট মানের গবেষণা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গবেষণামুখী হয়েছে। এ বছর প্রকাশিত গবেষণা নিবন্ধ ৪০০ ছাড়িয়েছে, আমরা এখন ১ হাজারে পৌঁছাতে চাই।
কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. ইফতেখার শামস্ এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাজী দিদারুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে কর্মরত টুম্পা বিশ্বাস। এ প্রশিক্ষণে মোট ২৫ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। এসময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।