বাংলাদেশে কাঁকড়া হ্যাচারির বাণিজ্যিক সফলতার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সেগুলো মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিন (এফএমআরটি) এবং নওয়াবেঁকী গণমুখী ফাউন্ডেশন (এনজিএফ), সাতক্ষীরার যৌথ উদ্যোগে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ৩১ মে (বুধবার) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘চ্যালেঞ্জেস এন্ড অপরচুনিটিস ফর সাসটেইনেবল কমার্শিয়াল মাড ক্রাব হ্যাচারি অপারেশন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. গোলাম সারোয়ার। সঞ্চালনা করেন ডিসিপ্লিনের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. নাজমুল আহসান।
কর্মশালায় এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. গোলাম সারোয়ার, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রউফ কাঁকড়া হ্যাচারি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক যেমন ব্রুডস্টক নির্বাচন, পরিবহন, লার্তা পালন, পুষ্টি, রোগ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন। প্রফেসর ড. এ এফ এম হাসানুজ্জামানের পক্ষে তাঁর গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেন সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুল ইসলাম। উক্ত কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ কাঁকড়া হ্যাচারি শিল্পের বাণিজ্যিক প্রসারের জন্য অধিকতর গবেষণার উপর গুরুত্ব আরোপ করে এ বিষয়ে পিকেএসএফ-কে মৎস্য এবং বন বিভাগের সাথে গবেষকবৃন্দের সমন্বয়ের উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
কর্মশালায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের মৎস্য এবং বন কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকবৃন্দ ছাড়াও কাঁকড়া শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারগণ উপস্থিত থেকে বাংলাদেশে কাঁকড়া শিল্পের উন্নয়নে হ্যাচারি প্রযুক্তির বিদ্যমান সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে হ্যাচারি পরিচালনার ধারাবাহিকতা এবং বাণিজ্যিক প্রসার নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণের অভিজ্ঞতা, সর্বোত্তম অনুশীলন এবং পরবর্তী করণীয় নিয়ে পারস্পারিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে উপযুক্ত সুপারিশমালা প্রণয়ন করেন যা বাংলাদেশে কাঁকড়া শিল্পের টেকসই উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।