খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিক স্কুল আয়োজিত ‘একুশ শতকের মানবিক শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলন সমাপ্ত হয়েছে। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
তিনি বলেন, কলা ও মানবিকবিদ্যা চর্চা মূল্যবোধকে সংরক্ষণ ও পারস্পারিক সহনশীলতার শিক্ষা দেয়। একে অপরকে মেনে নেওয়ার মানসিকতা গড়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে সহনশীলতা কমে গেছে। সম্পদ, অর্থের পিছনে ঝুঁকে প্রকৃত জ্ঞানচর্চার থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে ঢেউ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে মানবিকতা ও মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা অনেকটাই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। কিন্তু আমরা যত ব্যস্ত হয়েই পড়ি না কেন, সবাই শান্তি খুঁজতে চায়। এই প্রশান্তি তখনই মানুষ পায় যখন সে কিছুটা অবসরে থাকে। আর অবসর না পেলে মানুষ সৃজনশীল কিছু করতে পারে না। তাই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চর্চার পাশাপাশি কলা ও মানবিকবিদ্যা চর্চা জরুরি। যাতে করে মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ, মানবিকতা জাগ্রত থাকে। এই সম্মেলন থেকে যে দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে তা মানবিকবিদ্যা চর্চার নতুন নতুন দিক উন্মোচন করবে।
তিনি কলা ও মানবিক স্কুল প্রথমবারের মতো এই আন্তর্জাতিক আয়োজন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করায় স্কুলের ডিনসহ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন করেন উপাচার্য।
কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুবেল আনছার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জার্মানি থেকে আগত ইমেরিটাস প্রফেসর ড. টোবে লেভিন ফ্রেইফ্রাউ ভন গ্লেইচেন। অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান, খ্যাতনামা লেখক, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর বক্তব্য পড়ে শোনান বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. দুলাল হোসেন। এসময় কলা ও মানবিক স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধান ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।