বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বাউল সন্ধ্যা ও নবাবী খানা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর শুরু হয় বাউল সন্ধ্যার আনুষ্ঠানিকতা। এ সময় জনপ্রিয় সব বাউল গানে কানায় কানায় ভরপুর হয়ে উঠে বঙ্গবন্ধু হল প্রাঙ্গণ। হলের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আগত শিল্পীদের সুরের মুর্ছনায় মেতে ওঠে শিক্ষার্থী ও দর্শকরা।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এই আয়োজন উপভোগ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থানে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন সবাই মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। নতুন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের ব্যতিক্রমধর্মী এসব আয়োজন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে কখনও এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে দেখা যায়নি। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেখে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। এ থেকে প্রমাণিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় রোল মডেল।
প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ আবু সাঈদ এর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিশেষ করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি ও গণরুম না থাকা এবং আবাসিক হলগুলো শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তারাও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে এভাবে গড়ে তুলতে চান।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহতরা এখনও হাসপাতালে অসুস্থ অবস্থায় কাতরাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন কেউ না কেউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছে। তাদের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামে আমরা এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এটিকে ধরে রাখতে হবে। নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের কাজ করতে হবে। মেধা, শক্তি-সামর্থ্যে বেড়ে উঠতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি কো-কারিকুলা ও এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে অংশ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত। অনুষ্ঠানে শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করা হয়। বাউল সন্ধ্যা শেষে সংশ্লিষ্ট হলের শিক্ষার্থীদের নবাবী খানা অনুষ্ঠিত হয়।