খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলভুক্ত ৮টি ডিসিপ্লিনের ৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টায় ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরপরই শিক্ষার্থীরা বিসিএস এর পেছনে ছুটতে শুরু করে। যা শিক্ষার মুখ্য উদ্দেশ্য নয়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় এক ধরনের ব্যাধি ঢুকে গেছে। এই ব্যাধি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এজন্য নিজেদের পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সফলতা মানুষকে আরও বড় সফলতার জন্য উদ্বুদ্ধ করে। যেকোনো পুরস্কার প্রাপ্তিই আত্মতৃপ্তি দেয়। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক রেজাল্টের মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করার জন্য এই ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ স্কুলে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রচলন হয়েছে। বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল এবার প্রথমবারের মতো ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রচলন করেছে। তিনি ভবিষ্যতে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার পরামর্শ দেন, যাতে করে এই স্কুলের সকল শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত থাকতে পারে এবং এ থেকে অনুপ্রাণিত হয়।
ডিনস্ অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তির এই অনুপ্রেরণা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ জীবন আলোকিত করতে পারেন এবং তাদের কাছ থেকে দেশ ও জাতি আলোকিত হবেন বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শিক্ষক হিসেবে এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন। আরও বক্তব্য রাখেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রাক্তন ডিন প্রফেসর ড. আফরোজা পারভীন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণিত ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মুন্নুজাহান আরা। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অনুভূতি ব্যক্ত করেন পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের হাসান মাহমুদ রাফি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর সেহরীশ খান।
ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের আয়েশা আখতার (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৮), কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের মো. আবিদ আফসান হামিদ (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৫), নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের সুমাইয়া নাজ (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮০), ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের মাহমুদুল হাসান আবিদ (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮১), গণিত ডিসিপ্লিনের পুলক কুণ্ডু (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৯), পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের হাসান মাহমুদ রাফি (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯৮), রসায়ন ডিসিপ্লিনের ইভানা সুলতানা (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৯১) এবং পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের আবু জাফর (প্রাপ্ত সিজিপিএ ৩.৮৮)।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের ডিন, সংশ্লিষ্ট স্কুলভুক্ত ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।