শনিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবন সংলগ্ন মাঠে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা ও পারিবারিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা ও পারিবারিক মিলন মেলার যে আয়োজন করেছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কর্মকর্তা পরিষদের এই অনুষ্ঠান আমাকে অনুপ্রাণিত করে। এই কর্মকর্তা পরিষদ পরিবার নিয়ে যেভাবে একসাথে অনুষ্ঠানকে উদযাপন করে এবং তাদের পারস্পরিক হৃদ্যতা তা দেখার মতো এবং অনুকরণীয়।
তিনি আরও বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সাফল্য অর্জিত হয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আমরা গর্ব করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। তিনি আইনের মধ্যে থেকে কর্মকর্তাদের ন্যায্য ও ন্যায়ত সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে তাঁর পক্ষ থেকে সম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তিনি আরও বলেন, কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা ও পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য কর্মকর্তাদের সন্তানদের অনুপ্রাণিত করা একটি চমৎকার উদ্যোগ বলে তিনি আখ্যায়িত করেন। তিনি এ ধরনের অনুষ্ঠানে আরও আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে তিনি পরিষদের সদস্যদের ক্রেস্ট প্রদান, নতুন কর্মকর্তাদের বরণ, বিদায়ী কর্মকর্তার সংবর্ধনা, কৃতি সন্তানদের ক্রেস্ট প্রদান এবং বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে পরিষদের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সম্মানিত অতিথিবৃন্দকে ফুল ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচর্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান (পলাশ)। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মন্ডল। এ সময় ছাত্র বিষয়ক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী, কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন মমতাজ খন্দকার লাবনী। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।