সোমবার (১৩ মে) বিকাল ৪টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম। কেএমপি কমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজমান। এক্ষেত্রে কেএমপি সবসময় সহায়তা করে আসছে। যেকোনো প্রয়োজনে দ্রুততার সাথে তারা এগিয়ে এসেছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক, র্যাগিং, অসদুপায় অবলম্বনসহ যেকোনো অপরাধ দমনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সচেষ্ট। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হয় এবং পর্যায়ক্রমে পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা আছে। এছাড়া আগামীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর মনিটরিং ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। আলাপকালে উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুষ্ঠু ও সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ এবং উপাচার্যের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করে কেএমপি কমিশনার বলেন, শিক্ষা ও গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে চলেছে। প্রায় সময়ই সংবাদমাধ্যমে যখন আমরা এ সাফল্যের কথা জানতে পারি, তখনই গর্ব অনুভব হয়। আমরা চাই আগামী প্রজন্ম যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ছাত্রজীবন থেকেই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সহনশীল হতে হবে। একই সাথে যেকোনো অপরাধ থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে।
সৌজন্য সাক্ষাতকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন এবং খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্ব ক্রাইম) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এ, জেড, এম তৈমুর রহমানসহ সদর, সোনাডাঙ্গা, হরিণটানা ও লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।