খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১.৪৫ মিনিটে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বিএইউএসটি), খুলনার উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, পিএসসি। এসময় উপাচার্য তাঁকে ফুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। বিএইউএসটি, খুলনার উপাচার্য নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তাদের উন্নয়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার আগে সুশাসন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এজন্য প্রতি তিন মাস পর পর সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিল হওয়া বাঞ্ছনীয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মূল লক্ষ্য আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও সময়ের চাহিদা পূরণে স্মার্ট নাগরিক গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে রিসার্চ ফোকাসড ইউনিভার্সিটি হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে বিশ্বমানের ওবিই কারিকুলা অনুসরণ করে পাঠদান করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপাতও বিশ্বমানের। সার্বিকভাবে আমরা একটি পরিবর্তনের ধারার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব এবং রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন সেন্টার রয়েছে। যেটি এ অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবেন। তিনি একাডেমিক উন্নয়নসহ বিএইউএসটি, খুলনার বিকাশে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে এতদাঞ্চলসহ দেশের উন্নয়নে সবিশেষ ভূমিকা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিএইউএসটি, খুলনার উপাচার্য খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তাঁর সৌহার্দ্য এবং সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, বিএইউএসটি, খুলনার রেজিস্ট্রার লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. আব্দুল গফ্ফার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা এবং বিএইউএসটি, খুলনার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসান, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. শরিফুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।