বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) কর্তৃক প্রকাশিত ডি-নথি সহায়িকার মুদ্রিত কপির মোড়ক উন্মোচন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এ সময় উপাচার্য বলেন, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ডি-নথি বাস্তবায়নে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রবর্তী স্থানে রয়েছে। এবার আইকিউএসি থেকে ডি-নথি সহায়িকা প্রকাশ হয়েছে, যা দেশের মধ্যে প্রথম। এটি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং উৎসাহ জোগাবে। তিনি এই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। মোড়ক উন্মোচন ও সহায়িকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মো: মতিউল ইসলাম, প্রফেসর ড. জগদীশ চন্দ্র জোয়ারদার ও জনাব মো: মোস্তাফিজুর রহমান উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি ২০২২ সালের ১৮ মার্চ প্রথম ওরিয়েন্টেশন টু ই-ফাইলিং এ্যাট খুলনা ইউনিভার্সিটি শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ই-ফাইলিং থেকে বিষয়টি ডি-নথি তে আরও একটু বিস্তৃত পরিসরে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে নথি আদানপ্রদানের উদ্যোগ নিলে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ও সে উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বস্তুত যে কয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডি-নথির মাধ্যমে কাজকর্ম শুরু করেছে তারমধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সবার কাছে পথিকৃৎ হিসেবে স্বীকৃত। আইকিউএসির উদ্যোগে বিভিন্ন স্লটে ২০২২ সাল হতে অদ্যাবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট ৩৩৭ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে ১৭ দিন হাতে কলমে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশিক্ষণের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন উপাচার্য, যার সর্বশেষ নজির এই ডি-নথি সহায়িকার মোড়ক উন্মোচন।
সহায়িকাতে ডি-নথির পোর্টালে প্রবেশ থেকে শুরু করে আগত ডাক, ডাক প্রেরণ, ডাক ফেরত, নথিতে ডাক উপস্থাপন, ডাক নথিজাতকরণ, আর্কাইভিং, আপলোডিং, শেয়ারিং ইত্যাদি কাজে ব্যবহারকারি কিভাবে সুচারুরূপে, নির্ভুলভাবে সফল হবেন তার বর্ণনা রয়েছে। পাশাপাশি, প্রতিটি ক্ষেত্রের ‘ক্লিকিং’ এন্ড ‘রাইটিং’ কেমন হবে, সে বিষয়ে নান্দনিক গ্রাফিক্স ব্যবহার করে গোটা কমান্ডিং ব্যবস্থাটিকে ধাপে ধাপে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা খুবই সহজ ও সাবলিল হয়েছে। এটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে সক্রিয় থাকার একটি অন্যতম উদাহরণ।