চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে সত্যতা পাওয়া সত্বেও ধরা ছোয়ার বাইরে খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী (লিফটম্যান) নওশাদ । করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর নওশাদ কয়েকদিন আত্ম গোপনে থাকলেও এখন আবার ঘুরছে প্রকাশ্যে । করোনা সনদ জালিয়াতি হোতা নওশাদের খুটির জোর কোথায় যে এখনোও নওশাদ প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। নওশাত তার পরিচিত জনকে বলছে খুব শিগ্রই আবার খুমেক হাসপাতালে যোগদান করবে । করোনা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি নওশাদের বিরুদ্ধে পুলিশের আইনি ব্যাবস্থা গ্রহনের সুপারিশের পাঁচ দিন পার হলেও নওশাদকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইন শৃংখলা বাহিনী । গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইউসুপ আলীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর করোনা সনদ জালিয়াতে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি জালিয়াত চক্রের হোতা নওশাদের বিরুদ্ধে পুলিশী ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে । এদিকে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাধাগ্রস্থ করতে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে নওশাদ । গ্রেফতার এরাতে দেন দরবার করছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের ।
উল্লেখ, খুমেক হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী (লিফটম্যান) নওশাদ টাকার বিনিময়ে নগরের বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ এবং পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১ তে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তারা দু’জনই করোনা পজিটিভ হয়। তাদের যে আইডির মাধ্যমে নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছিলো তাও ভূয়া প্রমানিত হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে খুলনা জেলা প্রশাসন ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালকের একজন প্রতিনিধি তদন্ত করেন। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির তাদের প্রতিবেদন গত সোমবার বিকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির সদস্য ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমরা তদন্ত শেষ করে জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। আমরা প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এবং অভিযুক্তদের বিষয়ে পুলিশী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করেছি।