ফকির শহিদুল ইসলামঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।আর এই সর্বচ্চ রেকর্ডের সংবাদে নগরবাসীর মধ্য এক প্রকার আতংক বিরাজ করছে ।খুমেক হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের পর থেকে এতদিন ৪০-৪৫ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও শনিবার (১৩ জুন) একদিনে ৮০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যা এই ল্যাবে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর মধ্যে খুলনায় ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। এটি খুলনা জেলা ও মহানগরীর সর্বোচ্চ করোনা শনাক্ত রুগির সংখ্যা। খুলনা মহানগরী এলাকার করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে ৪৫ জন । শেখপাড়ায় এলাকায় আলী দেওয়ান (৪৫), ৫৩৫/২১ মুজগুন্নি মেইন রোডে নুর (১৯) ও মোজাম্মেল হক (৪৬), ১০ মুসলমানপাড়া ইলিয়াস আহমেদ (৬০) ও নাঈম (২০), ইলসাপাড়ার কোহিনূর (৬০), বানিয়াখামার মোঃ মিজানুর রহমান (৩৬), টুটপাড়ায় (চারজন) ডাঃ খন্দকার মিজানুর রহমান (৫৫), আসলাম (৫৫), আখি (২২) ও রাজ (৩০), সাউথ সেন্ট্রাল রোডে শামিন (১০) ও তানিশা (৩), ২৮ বিকে রোডে মোঃ নাসির উদ্দিন (৬৮), ময়লাপোতা এলাকার মোঃ আবুল হোসেন (৬৬), বকসিপাড়ার এম এ সালাম (৬১), ওবায়দুল খান (বয়স-২৯, ঠিকানা লেখিনি), খালিশপুর আবাসিক এলাকার সেন্ট্রাল রোডে খন্দকার রইজ উদ্দিন (৬৬), ক্রিসেন্ট আবাসিকের ইমদাদদুর হাবিব (৪১), সারগাজিতে আদিবা (১৭), দৌলতপুর দেয়ানার আশিকুর (২০), সাদ্দাম বিন সাখাওয়াত (১১) ও ফারসিনা খাতুন (৩৫) এবং বাগমারা এলাকায় আব্দুর রশিদ (৩৫)।গল্লামারীতে মিজানুর (৩০), নতুনবাজার বাশপট্টিতে রুবেল আহমেদ (২৩), ৪৭৩/২৮ নিরালা আবাসিকের (তিনজন) মনিরা সুলতানা (৩৮)।
একই সঙ্গে বাগেরহাটের সাতজন সাতক্ষীরার চারজন, যশোরের তিনজন, ঝিনাইদহের নয়জন, মাগুরার দুইজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। শনিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ। তিনি বলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজের ল্যাবে শনিবার সর্বাধিক ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। খুলনা বিভাগের নমুনা ছিল ১২৪টি। এর মধ্যে ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধুমাত্র খুলনা জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ জন। পাশাপাশি বাগেরহাটের সাতজন, সাতক্ষীরার চারজন, যশোরের ১৩ জন, ঝিনাইদহের নয়জন ও মাগুরার দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুন) খুমেক ল্যাবে সর্বোচ্চ ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যা এই ল্যাবে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল। এর মধ্যে খুলনায় ৪০ জনের করোনা পজিটিভ ছিল। যা খুলনায় একদিনে শনাক্তের রেকর্ড ছিল। শনিবার সে রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড। খুলনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৩ এপ্রিল। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগী মারা যান ২১ এপ্রিল।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, প্রতিদিনই খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবুও মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। অকারণে অনেকে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। আর বাইরে ঘোরাঘুরির কারণে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। নারীদের তুলনাই পুরুষ বেশি আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হলো বাইরে ঘোরাঘুরি করা।