খুলনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে নিহত পুলিশ সদস্য সুমন কুমার ঘরামীর মরদেহ কেএমপির পুলিশ লাইনে নেওয়া হয়। সেখানে গার্ড অব অনার শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে কেএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিক এক লাখ টাকা এবং মরদেহ সৎকারে আরও ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। সুমনের পরিবারে কেউ শিক্ষিত কেউ থাকলে পুলিশে চাকরির উপযোগী কেউ থাকলে তাকে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। কেএমপি আজীবন পরিবারটির পাশে থাকবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ চলাকালে আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে সুমন কুমার ঘরামী নিহত হন। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন।
গার্ড অব অনার শেষে পরিবার মরদেহ নিয়ে কচুয়ায় রওনা হয়েছেন। সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।