বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মেডিক্যাল কিলিং এর আয়োজন করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।
খুলনায় বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচির পূর্বে সমাবেশে এ অভিযোগ এনে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যেভাবে মেডিক্যাল কিলিং করা হয়েছে, একই প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়াকেও হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথে দাঁড়িয়ে এই অপচেষ্টার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তিনি।
শনিবার (১৯ আগষ্ট) বিকেলে খুলনায় মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়। নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে জমায়েত ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে নগরীতে স্মরণকালের বৃহত্তম গণ মিছিল করে দলটি।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজিজুল বারী হেলাল বলেন, একটি আদালত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সুযোগ্য সহধর্মীনী জোবায়দা রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে এই রায়কে ছেড়া কাগজের মতো উড়িয়ে দেবে।
হেলাল বলেন, এই সরকারের পতন সুনিশ্চিত। শেখ হাসিনা আর একটি অবৈধ ইলেকশানের পায়তারা করছে। সারা বিশ^ তাদেরকে বয়কট করেছে। আনন্দবাজার পত্রিকার সংবাদ পড়ে যারা আনন্দিত হচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্যে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের উক্তি স্মরণ করিয়ে দিয়ে হেলাল বলেন, কম্বোডিয়া, শ্রীলংকা, আফগানিস্তানের শাসকরা পালাতে পেরেছিল। কিন্ত বাংলাদেশ থেকে হাসিনাকে পালাতে দেয়া হবেনা। তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে। সার্বজনীন পেনশনকে তিনি শেখ হাসিনা লুটপাটের শেষ অস্ত্র অভিহিত করে দলীয়ভাবে তা প্রত্যাখানের ঘোষনা দেন।
ডুবন্ত সরকারকে বাঁচাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন না চালাতে ও গ্রেফতার না করতে তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান। সেই সাথে জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ সহ সকল বন্দিদের মুক্তি দাবি করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, সাইফুর রহমান, বেগম রেহানা ঈসা, এস এ রহমান বাবুল, এ্যাড. নুরুল হাসান রুবা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আব্দুর রকিব মল্লিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফা উল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, আশরাফুল আলম খান নান্নু, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল,
শেখ জাহিদুল ইসলাম, কে এম হুমায়ুন কবির, হাফিজুর রহমান মনি, আবু মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ^াস, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, মোল্লা সাইফুর রহমান, এনামুল হক, আব্দুল মান্নান খান, মোজাফফর হোসেন, বিকাশ মিত্র, জাবেদ মল্লিক, আবুল হোসেন, দীপক কুমার, আল আমিন সানা,
ফখরুল আলম, মনিরুজ্জামান মন্টু, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ আব্দুর রশিদ, গাজী আব্দুল হক, বেগ তানভিরুল আযম, শেখ শাহিনুল ইসলাম পাখী, এ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, রেবায়েত হোসেন বাবু, আব্দুল মজিদ, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, খায়রুল ইসলাম খান জনি, এ্যাড, মাসুম রশিদ, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, আব্দুস সাত্তার, এহতেশামুল হক শাওন, অসিত কুমার সাহা, এ্যাড. তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, শাকিল আহমেদ দিলু, একরামুল কবির মিল্টন, এ কে এম শহিদুল আলম, জহর মীর, নাজিরউদ্দিন নান্নু, শেখ আজগর আলী, হাসানউল্লাহ বুলবুল, মোল্লা এনামুল কবির, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামালউদ্দিন, মোঃ হাফিজুর রহমান, আফসারউদ্দিন, আনিসুর রহমান, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, কাজী মোঃ শাহনেওয়াজ নীরু, আব্দুর রহমান ডিনো,
মো. ইকবাল শরীফ, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, আরিফুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, খন্দকার ফারুক হোসেন, খন্দকার হাসিনুল ইসলাম নিক, সেলিম সরদার, মো. জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিল্টন, সরোয়ার হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফি, রফিকুল ইসলাম, আলী আক্কাস, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, হাসনাত রিজভী মার্শাল, আজিজা খানম এলিজা, সরদার আবদুল মালেক, মাসুদ খান বাদল, রাহাত আলী, টিটু ভূঞা, শাহাদাত হোসেন, গাজী আবদুল হালিম, দিদারুল হোসেন, হেলাল উদ্দিন, জাফরি নেওয়াজ চন্দন, শামসুল বারিক পান্না,
কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম, আব্দুল্লাহেল কাফি সখা, সাইফুল ইসলাম সান্টু, আব্দুল আজিজ সুমন, শেখ জাবির আলী, আজাদ আমিন, উজ্বল কুমার সাহা, খান ইসমাইল হোসেন, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মাদ, আলমগীর তালুকদার, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মোঃ তাজিম বিশ্বাস, আবু সাঈদ শেখ, মেহেদী হাসান মিন্টু, মাহমুদ আলম লোটাস, এ্যাড.তসলিমা খাতুন ছন্দা, এ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন, শফিকুল ইসলাম শাহিন, আতাউর রহমান রনু, মোল্লা কবির হোসেন, আক্তারুজ্জামান তালুকদার সজীব, শেখ আবু সাইদ, শেখ আদনান ইসলাম দ্বীপ, সরদার শফিকুল আমিন লাভলু, এমদাদ হোসেন, মো. আব্দুল ওহাব, মোহম্মদ হোসেন, এ্যাড মাসুদ হোসেন রনি, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ শাহ জালাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, শফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দার জলি, মো. শহীদ খান, মো. মতলুবুর রহমান মিতুল মোড়ল প্রমুখ।
এর আগে মহানগরীর সকল ওয়ার্ড, থানা এবং জেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিশাল বিশাল মিছিল এসে থানার মোড়ে জমায়েত হয়। সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল কে ডি ঘোষরোড, থানার মোড়, পিকচার প্যালেস. ডাক বাংলা, ফেরীঘাট মোড় হয়ে খানজাহান আলী রোড ধরে শান্তিধাম হয়ে রয়্যাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিল থেকে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়।