খুলনার তেরখাদায় ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করে মাত্র ৮ বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধার তালিকাভূক্ত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৩ মার্চ (সোমবার) দুপুরে তেরখাদা উপজেলা সদরে এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোঃ রিপন শেখ,দুলালী বেগম, মো: রাবু মোল্লা, সরোয়ার শেখ, কবির মোল্লা,মোঃ সাগর শেখ,,উজ্জল বিশ্বাস,বিল্লাল শেখ,জিয়ারুল ইসলাম,সোহেল শেখ,ইব্রাহিম মোল্লা,ইয়াছিন শেখ প্রমূখ। এ সময় তারা বলেন গাউস মোল্লা প্রতারনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধার তালিকাভূক্ত হয়েছেন। কারন ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করে মাত্র ৮ বছর বয়সে সে কিভাবে ভারতে ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধার তালিকাভূক্ত হতে পারেন-?? যার কারনে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বরবার লিখিত অভিযোগ করেছেন তেরখাদা উপজেলার বারাসাত গ্রামের এম এ আলম।
লিখিত ঐ অভিযোগে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের কোলা পাটগাতী গ্রামের গাউস মোল্লা জন্ম গ্রহণ করেছেন ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। জন্ম তারিখ অনুযায়ী মাত্র আট বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। গাউস মোল্লা এতো অল্প বয়সে ভারতেও ট্রেনিং করেছেন মর্মে দাবি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদপ্রাপ্তও হয়েছেন। গাউস মোল্লার জাতীয় পরিচয় পত্র (নম্বর ৭৭৭২৯১৩০৫৪) অনুযায়ী জন্ম ১৯৬৩ সালের ১লা জানুয়ারি। যার বীর মুক্তিযোদ্ধা নং ০১৪৭০০০১৬৬৫, লাল মুক্তিবার্তা নং ৪০২০২০০১৬, গেজেট নং-১৬, সূচক নং-৪৭-৯৪-২৭-০২৩ ব্যবহার করে ২০০৫ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সুবিধা গ্রহণ করছেন। ১৯৭১ সালে মাত্র আট বছর বয়সে সে কিভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে গিয়ে ট্রেনিং গ্রহণ ও মুক্তিযোদ্ধা হলো তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
আরও বলেন, আসলেই কি গাউস মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ করেছে? নাকি টাকার বিনিময়ে বা প্রতারণার মাধ্যমে সে মুক্তিযোদ্ধা সনদ অর্জন করেছে। গাউস মোল্লা এতো অল্প বয়সে আদৌ ভারতে ট্রেনিং করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে কিনা সে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে স্থানীয়রা মানববন্ধনে এসব কথা বলেন।