যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সারা দেশের ন্যায় খুলনায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হয়।
এ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সড়কদ্বীপ বাংলা ও আরবীতে ঈদ মোবারক খচিত ব্যানারে সজ্জিত করা হয়।
ঈদ-উল-আযহার প্রধান জামাত সকাল আটটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহম্মদ সালেহ।
ঈদের জামাতে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হেলাল মাহমুদ শরীফ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পরে মুসল্লীরা পরস্পর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সকাল নয়টায় ঈদের দ্বিতীয় এবং সকাল ১০টায় তৃতীয় ও শেষ জামাত খুলনা টাউন জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে অবস্থিত খুলনা মডেল মসজিদে সকাল সাড়ে সাতটায় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নগরীর নিউমার্কেট সংলগ্ন বায়তুন-নুর-জামে মসজিদে সকাল সোয়া আটটায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সোয়া নয়টায় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
খুলনার ডাকবাংলা জামে মসজিদ, ময়লাপোতা বায়তুল আমান জামে মসজিদ, সোনাডাঙ্গা, ইসলামাবাদ জামে মসজিদ, মুন্সিপাড়া জামে মসজিদ, জিলা স্কুল জামে মসজিদ, কাস্টমঘাট জামে মসজিদ, পিটিআই জামে মসজিদ, কেডিএ, নিরালা জামে মসজিদ, আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল মসজিদ, শিপইয়ার্ড, লবনচরা, হাজি মহসিন রোড, চাঁনমারী, রূপসা, টুটপাড়া, মিয়াপাড়া, শেখপাড়া, বসুপাড়া, জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনী মসজিদ, বয়রা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইন মসজিদ, জেলা পুলিশ লাইন মসজিদ, খালিশপুর ক্রিসেন্ট জুট মিলস, দৌলতপুর বিএল কলেজ, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা মসজিদ ও দৌলতপুর, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর ও খানজাহান আলী থানার মসিজদসহ নগরীর বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাত অনুুষ্ঠিত হয়।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। জেলার উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ কর্মসূচি উদযাপন করা হয়।