চ্যানলে খুলনা ডেস্কঃখুলনার খানজাহান আলী থানার সাজ্জাদুর রহমান লিংকন যুবলীগের আহবায়ক পদটিকে আলাদিনের চেরাগে পরিণত করেছেন বলে খোদ দলীয় নেতাদের অভিমত । তারা বলেন, অর্থ বিনিয়োগে এই পদটি ক্রয় করেই শূন্য থেকে প্রায় শত কোটি টাকার মালিক তিনি। এছাড়া ওই কমিটি গঠন নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। মুদি দোকানের কর্মচারী আর বিএনপি নেতার ব্যবসায়ের কেয়া টেকার হিসাবে যাত্রা শুরু করেছিলেন এই সাজ্জাদুর রহমান লিংকন।
খানজাহান আলী থানা যুবলীগের কমিটি গঠন করার জন্য সম্মেলন আহবান করা হয়েছিল ২০১৬ সালে সালে জুন মাসে। কিন্তু সম্মেলনের মাত্র সাত দিন আগে ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের বাদ রেখে কেন্দ্রের নির্দেশে সম্মেলন স্থগিত করে সাজ্জাদুর রহমান লিংকনের আহবায়ক কমিটি ৯০ দিনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয় । ২১ সদস্য বিশিস্ট এই কমিটিকে পরবর্তীতে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্মেলন করে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয় । কেন্দ্রীয় এক নেতার ডিও এবং নগত নারায়ন ছিল এই কমিটি অনুমোদনের পূঁজি । যা গত সাড়ে তিন বছরেরও হয়নি। জেলা, মহানগর, থানা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা লিংকনের পদকে আলাদিনের চেরাগ হিসাবে স্বীকার করলেও নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কেউই তাদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। তারা জানান, মাদক ব্যবসায়ী আর বখাটে চাদাঁবাজদের নিয়ে তার তৈরি করা বাহিনী দিয়ে নেতাদের হয়রানি করায় লিংকনের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাই না। সম্প্রতি তিনি দুজনা আওয়ামী লীগ নেতার নামে মামলা করে তাদের নানাভাবে হয়রানি করেছেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত বয়স্ক নেতারা জানান, খান জাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি বর্তমানে কানাডায় অবস্থানরত মীর কাইশেদ আলী বাসায় এবং ব্যবসার কেয়ার টেকারে কাজে যুক্ত ছিলেন এই সাজ্জাদুর রহমান লিংকন। দিঘলীয়া উপজেলার লাখহাটি এক কৃষক পরিবারের সন্তান সাজ্জাদুর রহমান লিংকন ফুলবাড়ীগেট এসে তারা মামার মুদি দোনের কর্মচারী হিসাবে প্রথম যাত্রা শুরু করে ছিলেন। লিংকন থানা যুবলীগ আহবায়ক হওয়ার আগে দলের কোন সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড কমিটিতে বড় পদেই ছিলেন না। ফলে তৃণমূল থেকে উঠে আসা দলীয় রাজনৈতিক নেতাদের কোন মুল্যায়ন তিনি করেন না। ইতিপূর্বে সাজ্জাদুর রহমান লিংকন জানিয়েছিলেন তিনি কোন সংবাদ বিষয়ক কোন কথা বলবেন না ।সুত্র-দৈনিক লোক সমাজ