চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা জাকির হত্যা মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন। মহানগর হাকিম মোঃ আমিরুল ইসলাম গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর মীর আতাহার আলী মামলার সকল আসামিকে অব্যাহতি দান পূর্বক আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেছিলেন। তার ওই রিপোর্টের বিরুদ্ধে ফরিয়াদী পক্ষ না-রাজি দরখাস্ত দাখিল করেন। অভিযোগ করেন-আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে চূড়ান্ত রিপোর্টটি দাখিল করা হয়েছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুনানি শেষে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। বিকেলে আদালত থেকে আদেশের কপি পিবিআই কার্যালয়ে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। আদালতের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।
২০১২ সালের ২০ মে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৭টায় ডিসি এবং এসপি অফিসের নিকটতম দূরত্বের কেসিসি মার্কেটস্থ’ চেম্বারের তালা বন্ধ করে খান মোঃ জাকির হোসেন বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হেলমেট পরিহিত দু’ আততায়ী সেখানে এসে তার নাম জিজ্ঞাসা করে। নাম বলা মাত্রই তাদের একজন পিস্তল বের করে তাকে গুলি করে। বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। দু’-তিনটি মোটরসাইকেলে ঘাতক দলের অন্য সদস্যরা জেলা পরিষদের সামনের সড়কে অপেক্ষা করছিল। তারা ওই দু’জনকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাবার আগে ওই রাস্তায় তারা আরও একটি বোমা ফাটায়। মামলার নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, ২২ মে নিহতের স্ত্রী জামিলা বেগম খুলনা সদর থানায় হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহভাজন হিসেবে রেজাউল করিম বাবলু (৫৫), শেখ আলমগীর হোসেন (৩৫), শেখ আজিম উদ্দিন (৩৬), মোঃ জামির হোসেন ওরফে জামির শেখ (৪৩), জহিরুল ইসলাম ওরফে লাল্টু (৩৬), শেখ হাসান (৪৮) এবং মোঃ ফারুক হোসেন গ্রেফতার হয়। আরেক সন্দেহভাজন মোঃ বাহাউদ্দিন খন্দকার (৪৭) কে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতারের চেষ্টা করলে তিনি এবং ছাদিকুর রহমান ওরফে রনি (৩৫) উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন গ্রহণ করেন।
আদালতে দাখিল করা না-রাজি দরখাস্ত সূত্রে জানা গেছে, রায়েরমহল বাউন্ডারি রোডের বাসিন্দা অপর দলিল লেখক বাহাউদ্দিন খন্দকারের সাথে নিহত জাকিরের পূর্ব শত্র“তা ছিল। তিনি দলিল লেখক সমিতির যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার পর এ শত্রুতা আরও তীব্র হয়। এর জের ধরে তিনি জাকিরকে হত্যার সব রকম পরিকল্পনা করে ১৮ মে নেপালের কাঠমন্ডুতে পাড়ি জমান। সেখানে ২৫ মে পর্যন্ত অবস্থান করে তিনি আসামী ছাদিকুর রহমান রনির সাথে ফোনে যোগাযোগ করে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেন। তারা যদি খুনের সাথে জড়িত না থাকত-তবে, কেন উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন? আগাম জামিন নেয়ার কারণ উল্লেখ করে ফরিয়াদী পক্ষের আইনজীবীরা তাদেরকে খুনের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগানদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেন। ফরিয়াদী পক্ষে এড. আক্তার জাহার রুকু এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সমন্বয়কারী এড. মোমিনুল ইসলাম আদালতে শুনানি করেন।
উল্লেখ,২০১২ সালে খুলনা মহানগরীর রায়ের মহল এলাকার বাসিন্দা দলিল লেখক সমিতির নেতা খান মোঃ জাকির হোসেনকে কতিপয় সন্ত্রাসী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কেসিসি সুপার মার্কেট এলাকায় গুলি করে পালিয়ে যায়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে খুলনা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাত পৌনে ১০টায় লাইফ সাপোর্ট দিয়ে তাকে যশোর সিএমএইচ হাসপাতালের উদ্দেশে পাঠানো হয়। পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃত্যু হয়। এর পর তার মরদেহ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে এনে রাখা হয়। সেমাবার সকালে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। পরে তাকে রূপসা উপজেলার গ্রামের বাড়ি শোলপুরের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মামলার বাদী জানান,আমার স্বামী জাকির হত্যায় নেপথ্যে রায়েরমহলসহ আশপাশ এলাকার হিন্দু সম্পত্তি আত্মসাত এবং ঐ এলাকার আধিপত্ত বিস্তারের লক্ষে একটি ভুমিদস্যু চক্র পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তাকে বাঁধা মনে করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় । তিনি জাকির নিহত হওয়ার পর পরই শুরু হয় ঐ এলাকার চিহিৃত ভুমিদস্যু সরকারের স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের মাদকের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ৫নন্বরে তালিকা ভুক্ত বাহাউদ্দিন খন্দকারের রাম রাজত্ব । আর এই রাম রাজত্ব কায়েম করে বাহাউদ্দিন খন্দকার রাতা রাতি বনে যান শত শত বিঘা সম্পত্তি ও অবৈধ কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক ।বাহাউদ্দিন খন্দকারের সাথে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের সখ্যতা এবং তাদের সাথে অন্তরঙ্গ ছবি ।
। আর এই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের ছবি ও নাম ভাঙ্গিয়ে করছেন খুলনা বাইপার্স সড়কের পাশে খাল দখল,জমি দখল,অন্যের জমিতে নিজের নাম ব্যাবহার করে চালাচ্ছেন নিরিহ লোকদের জমি দখলসহ নানা অপকর্ম । তিনি চলা ফেরা করেন ব্যাপক সশ্ররো নিরাপত্তা নিয়ে । তার অফিস ও বাড়ি সম্পুর্ন সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত । বাহাউদ্দিন খন্দকারের সাথে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের সখ্যতা । আর এই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে করছেন খুলনা বাইপার্স সড়কের পাশে খাল দখল,জমি দখল,অন্যের জমিতে নিজের নাম ব্যাবহার করে চালাচ্ছেন নিরিহ লোকদের জমি দখলসহ নানা অপকর্ম । তিনি চলা ফেরা করেন ব্যাপক সশ্ররো নিরাপত্তা নিয়ে । তার অফিস ও বাড়ি সম্পুর্ন সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত । নিজের ধান্ধায় যদি মাঝে মধ্যে খুলনার ঐসকল নেতাদেরও গালি দিয়ে বলেন আমার ঐসব নেতা গোনার টাইম নাই । তাদের প্রয়োজনে তারা আমার কাছে ছুটে আসেন । তার সাথে সাবেক এক এমপির বেশ সখ্যতা ছিলো । যেই দেখলো ঐ নেতার বিপদে সঙ্গে সঙ্গে বাহাউদ্দিন খন্দকার নিজের ছবি ও নতুন নেতার ছবি দিয়ে পোষ্টারে ছেয়ে ফেলছেন । অথচ ঐ নেতার নির্দেশ ছিলো তার ছবি ব্যাবহার করে কেহ যদি পোষ্টার লিপলেট তৈরি করে তাকে আইনশৃংখনা বাহিনীর হাতে তুলে দিন ।কিন্ত বাহাউদ্দিন খন্দকারই প্রথম নিজের সাবেক নেতাকে ছুড়ে নতুন নেতার পোষ্টার তৈরি করায় ঐ এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া ।