খুলনা অফিসঃখুলনার জেলার কয়রা উপজেলার বেতকাশী ইউনিয়নের ভুমি কর্মকর্তা চিহৃিত দূর্ণীতিবাজ মোঃ ইকবাল হোসেন হোসেনেন কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহিভুত সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে ।দূর্ণীতিবাজ মোঃ ইকবাল হোসেন হোসেনের সাথে কাজকরা ঘুষ গ্রহনের দায়ে বরখাস্থকৃত মহিলা উপ-সহকারী ভুমি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিনসহ যারাই তার সহকারী হয়ে কাজ করেছেন তারা হয়েছেন বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক । ইকবাল হোসেন টাকা ছাড়া কোন ভুমি মালিককে সেবা দেন না । তার কাছে খাজনা,নামজরীসহ ভুমি সেবা পেতে হলে মোটা অংকের ঘুষ না দিলে সেবা গ্রহিতার হতে হয় হয়রানীর স্বীকার । ভুমি অফিসে চাকরী হওয়ার পূর্বে তার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিলোনা । ভুমি অফিসে চাকরী পেয়ে যেন আলাদিনের চ্যারাগ হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছন তারই গ্রামবাসী । শুধু গ্রামই নয় খুলনা শহরে নামে বেনামে এবং বয়রা শশুরবাড়ী এলাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যায় গড়ে তুলেছেন কয়েকটি বহুতল ভবন,ভুসম্পত্তি,নগত ব্যাংক ব্যালেন্স পাজারো গাড়ি । খুলনা বয়রা এলাকার আলোচিত জোরা ৪তলা বাড়ির মালিক বেতকাঁশীর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেনের । দুর্ণীতিবাজ এই ভুমি কর্মকর্তা এক সময়ে দৌলতপুর ভুমি অফিস,খুলনা সদর ভুমি অফিস,রুপসা ভুমি অফিস,বটিয়াঘাটার সুরখালি ভুমি অফিসে চাকরী করেছেন । সম্প্রতি তিনি কয়রা বেতকাঁশি ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন । সুচতুর এই কর্মকর্তা নিজের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে ফেলেন নগরীর গুরুত্বপূর্ণ দৌলতপুর ও সদর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা থাকাকালীন । এই দুটি জায়গায় কাজ করার সুবাধে মহানরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একাধিক বাড়ি ও প্লট বাগিয়ে নেন । বর্তমানে তার জীবন যাপন এবং জোরা দুটি চার তলা বিল্ডংর আসবাবপত্র দেখলে অনেকের চোঁখকে বিশ্বাস করা করা কঠিন হবে একজন সামান্য ভুমি কর্মকর্তা কিভাবে এত বড় দুটি জোরা বিশাল অট্রালিকা মালিক হলেন । শুধু জোরা বিল্ডিংনয় আরো রয়েছে আন্দিরঘাট এলাকায় কয়েক কোটি টাকা মুল্যের ভু-সম্পতি । ঐ এলাকায় আশপাশের লোকদের জিজ্ঞাসা করলেই তারা প্রথমে ভয় বলতে চাননা । কারন ঐ এলাকায় তার শশুরবাড়ি হওয়ায় তার স্ত্রী হ্যাপীর দাপটে কেহ কিছু বলতে চাঁন না । এলাকার রমজান আলীর প্রশ্ন করে বলেন দুদক কি জানেনা যে এত বিশাল অট্রালিকার মালিক একজন ভুমি কর্মকর্তা । আমরাও সরকারী বড় পদে চাকরী করেও এখনো ভাড়া দিয়ে বসবাস করছি । ৩৫ বছরের চাকরী জীবনে কি করলাম এমন প্রশ্ন আমার পরিবারের । অথচ সামন্য ভুমি কর্মকর্তার জোরা বিল্ডিংসহ রয়েছে আরো কয়েকটি ভাড়াটিয়া বাড়ি । ইকবলের ঘড়ের ভিতরে রয়েছে দামি দামি ফার্নিচারের সমারোহ । ইকবাল হোসেন যেই স্থানে চাকরী করেছেন সেই সমস্ত অফিসে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,সংশ্লিষ্ঠ ভুমি অফিসের পিয়ন পর্যন্ত তার নাম শুনে বলে ও টাকা ইকবাল স্যার । টাকা ইকবাল মানে কি এমন প্রশ্নে বলেন ভাই আপনি আরো অফিসে খোজঁ নেন দেখবেন সবাই বলবে টাকা ইকবাল । কেন টাকা ইকবাল বলবে কেন এ প্রশ্নে বলে ভাই সেই একমাত্র ভুমি কর্মকর্তা যে টাকা ছাড়া কোন কাজে হাত দেন না । তাকে টাকার নেশায় ধরছে । ২০টাকা থেকে শুরু করে ক্ষেত্র বিশেষ ২/৩ লাখ টাকা ঘুষ পেলেও অফিসের কাউকে এককাপ চা খাওয়াবেনা । এ বিষয়ে ভুমি কর্মকর্তার সেল ফোন জানতে চাইলে কয়েকবার ফোনটি ধরে এবং কেটে দিয়ে বলে নেটওয়াকে সম্মস্যা । এরপর একাধিকবার ফোন করলেও কলটি রিসিব করেননি । পরে সন্ধায় ফোন করলে কলটি রিসিব করে সাংবাদিক পরিচয় দিলে বলে আমি সারাদিন পর এখন বাসায় ফিরছি এখন বলেন । তাকে জোরা ৪তলা বাড়ি ও তার অবৈধ জ্ঞাত আয় বহিভুত সম্পদের কথা জিজ্ঞাসা করতেই তিনি কলটি কেটে দেন ।
চোঁখ রাখন ইকবল হোসেনের আরো বিস্তারিত তথ্য নিয়ে তিন পর্বের প্রতিবেদন নিয়ে আসছি শিগ্রই ।