খুলনার সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল আলো ছড়িয়েছেন সাংবাদিক সাহাবুদ্দীন আহমেদ। সেই আলো পথ দেখাবে আগামী দিনের সাংবাদিকদের। তিনি মন মননে, চিন্তা চেতনায় যেমন ছিলেন অগ্রণী, তেমনি সাংবাদিকতা ও সততার প্রতি ছিলেন অবিচল ও নির্ভীক। অন্যায় ও অসততার কাছে কখনোই তিনি মাথা নত করেননি। খুলনার সাংবাদিক ও মানুষের হৃদয়ে সাংবাদিক সাহাবুদ্দীন আহমেদ ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। এভাবে বললেন গুণীজন স্মৃতি পরিষদের ওয়েবিনারের শোকসভায় বক্তারা।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকাল ৪টায় গুণীজন স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে ওয়েবিনারে প্রবীণ সাংবাদিক সাহাবুদ্দীন আহমেদ স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন লেখক ও সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী। সঞ্চালনা করেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা জামাল পপলু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য এস এ রশীদ, সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক কাজী মোতাহার রহমান বাবু, সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আব্দুল হালিম, দৈনিক ইত্তেফাক এর ব্যুরো প্রধান এনামুল হক, একুশে টেলিভিশন খুলনার বিভাগীয় প্রতিনিধি ও গুণজিন স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সাহাবুদ্দিন আহমেদ এর পৈত্রিক ভিটা ছিল মানিকগঞ্জে। বাবার চাকরির সুবাধে খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে লেখাপড়া করেন। সর্বশেষ শিক্ষাজীবন দৌলতপুর সরকারি বিএল কলেজ। তিনি ১৯৬২ সালে শরীফ কমিশন রিপোর্ট বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি শিক্ষকতায় যুক্ত হন। পরে ১৯৬৫ সালে খুলনার স্থানীয় ওয়েভ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হন। ৪৪ বছর পেশাগত জীবনে সাপ্তাহিক হলিডে, বাংলাদেশ টাইমস, দি ডেইলি টেলিগ্রাফ, ডেইলি ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস ও দি ডেইলি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। ১৯৭০-৭১ সালে করাচীর প্রভাবশালী দৈনিক ডন পত্রিকায় খুলনাস্থ প্রতিনিধি ছিলেন। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা থেকে অবসর নেন। ২০০৮ সালে সাদা মনের মানুষ হিসাবে জেলা প্রশাসন থেকে স্বীকৃতি পান।
বক্তারা বলেন, তিনি সময়ের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতেন। সংবাদের তথ্য নিয়ে বারবার যাচাই করতেন। কোনভাবে যেন সংবাদটি প্রকাশিত হলে তা পক্ষপাতমূলক না হয়। সহকর্মীদের আপদে-বিপদে তিনি এগিয়ে আসতেন। ভাল সংবাদ পরিবেশন করলে তাকে তিনি ডেকে প্রশংসা করতেন। এজন্য অনেকে তাকে গুরু বলে ডাকতেন।