চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ নিজের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন আড়াল করতে ও অর্থের লোভে বোন জুঁইয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছেন এবং মামলা করেছেন ভাই মোস্তফা ফয়সাল।বোন ফারহানা নাসরিন জুঁই প্রতারণার মাধ্যমে ভাই ও দুই স্বামীর এক কোটি ৬২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন- এমন অভিযোগ এনে মামলা করেন খুলনার বয়রা এলাকার বাসিন্দা ভাই মোস্তফা ফয়সাল।বোনের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে মামলাটি করা হয়। এরই মধ্যে মামলাটি তদন্তের জন্য খুলনার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে পাঠানো হয়েছে।
তবে মোস্তফা ফয়সালের বাবা এসএম বাবর আলী বলেছেন, জুঁইয়ের বিরুদ্ধে তোলা মোস্তফা ফয়সালের অভিযোগ মিথ্যা। নিজের আখের গোছাতে মাঝবয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে জুঁইয়ের বিয়ে দেয় ফয়সাল। তার কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েছে ফয়সাল। শেষ পর্যন্ত বোন জুঁইয়ের বিরুদ্ধে মামলা এবং অপপ্রচার শুরু করে সে।
ফয়সালের বাবা এসএম বাবর আলী আরও বলেন, ২০০৬ সালে ১৬ বছর বয়সে জুঁইকে খুলনার বাসিন্দা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের ছয় মাস পর জিয়াউর রহমান মারা যায়। ওই সময় জুঁইয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতে পঞ্চাশোর্ধ হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে জুঁইয়ের বিয়ে দেয় ফয়সাল। বিয়ের পর অনেক কষ্ট করে কবিরের সঙ্গে জুঁইয়ের তালাক হয়ে যায়। এরপর বেঁচে থাকার তাগিদে চাকরি নেয় জুঁই। কিন্তু সেখানেও সমস্যা সৃষ্টি করে অর্থলোভী ভাই ফয়সাল।
বাবর আলী বলেন, আমার ছেলে ফয়সাল অর্থলোভী ও বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। ২০০৭ সালে ফারজানা ববি সোমা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে সে। দুই লাখ টাকা খরচ করে ওই মেয়েকে তালাক দেয়া হয়। লেখাপড়া না করায় অনেক অর্থ ব্যয় করে ২০১২ সালে তাকে কোরিয়ায় পাঠানো হয়। সেখানে চাকরির টাকা বাবার অ্যাকাউন্টে না পাঠিয়ে বোনের অ্যাকাউন্টে পাঠাতো ফয়সাল। ওই টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ফয়সালের বান্ধবী সাবিনাকে দেয়ার পর যা থাকতো তা আমার হাতে দেয়া হতো।
তিনি আরও বলেন, কোরিয়া থেকে দেশে এসে এক সন্তানের মা শারমিনকে বিয়ে করে ফয়সাল। স্ত্রীকে নিয়ে রাজার হালে থাকার পর অর্থ ফুরিয়ে গেলে আমার জমি বিক্রি করে ২০ লাখ টাকা দেয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে নেভি কলোনির মধ্যে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করে ফয়সাল। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে অশালীন আচরণের কারণে সেখান থেকে বিতাড়িত হয় সে। এরই মধ্যে স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে গেলে আবার বিয়ে করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে ফয়সাল। পরে বাড়ি থেকে আর কোনো টাকা-পয়সা না দেয়ায় পরিবারকে হেনস্তা করার অপকৌশলে মেতে ওঠে ফয়সাল। বন্ধু হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বোনকে ব্ল্যাকমেইল করতে শুরু করে সে। এমনকি বোনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে। যার কোনো ভিত্তি নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোস্তফা ফয়সাল বলেন, পাওনা টাকা না দেয়ার কৌশল হিসেবে বাবা-মা ও বোন আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে। এজন্যই আমি মামলা করেছি। আদালতে এসবের প্রমাণ হবে।