চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাবে ১২০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৮৬ জনই খুলনার। এছাড়াও সাতক্ষীরায় ২৫ জন, যশোরে ৭ জন এবং গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুরে ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর করোনা আক্রান্ত চার জনের মৃত্যু ও উপসর্গে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬১৪ জন।
সোমবার (০৬ জুলাই) সন্ধ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
খুমেকের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান সোমবার পিসিআর ল্যাবে ২৮১ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এতে খুলনা নমুনা ছিল ২৫৮টি। মোট পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ১২০ টি। যার মধ্যে ৮৬ জনই খুলনা জেলার। খুলনা ছাড়াও সাতক্ষীরায় ২৫ জন, যশোরে ৭ জন এবং গোপালগঞ্জ ও পিরোজপুরে ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাফিজ-আল-আসাদ জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার খান (৫৮) ইন্তেকাল করেছেন। সোমবার ভোর ৬টায় খুলনা সদর হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে তিনি মারা যান।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, সোমবার করোনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন- সহিদুর রহমান সহিদ ও মো. নজরুল ইসলাম। মৃতদের মধ্যে সহিদ নগরীর সোনাডাঙ্গা ঈদগাহ এলাকার বাসিন্দা ও সোনাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকান্দার জানান, সোমবার ভোর ৭টার দিকে হানিফ শেখ (৫০) নামে একজন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি নগরীর খানজাহান আলী রোডের মৃত লুফর শেখের ছেলে। গত ২ জুলাই থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট সমস্যা নিয়ে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে তার অবস্থা খারাপ হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই তিনি মারা যান। তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতরা হলেন বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থানাধীন তাপডা গ্রামের মৃত ইজ্জত আলী খানের ছেলে আবেদ আলী খান (৭৪) ও নগরীর রায়েরমহল এলাকার সৈয়দ আলতাব হোসেনের ছেলে।
খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানা গেছে,
খুলনা জেলায় মোট করোনা পজিটিভ রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৬১৪ জন, যার মধ্যে মারা গেছে ৩৪ জন, সু্স্থ্য হয়েছেন ৪৯৯ জন।আক্রান্তদের মধ্যে ১৬৫০ জন পুরুষ, নারী ৭৪২ ও শিশু ১৩৬ জন। আর করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জনের। সূত্র: সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
উল্লেখ্য, খুলনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ১৩ এপ্রিল। নগরীর করিমনগর এলাকার অবসর প্রাপ্ত ব্যাংকার আজিজুর রহমান।