খুলনায় ‘অনলাইন প্লাটফর্মে ডিজিটাল মেলা-২০২০’ উপলক্ষে ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রযুক্তিই হাতিয়ার’ শীর্ষক সেমিনার রবিবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট www.khulna.gov.bd -এ আগামীকাল (সোমবার) উদ্বোধনের মাধ্যমে মেলার কার্যক্রম ও সেবাসমূহ উপস্থাপন করা হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশে^ স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে উন্নত দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশও তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে যাচ্ছে। খুলনা জেলাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘জরুরি চিকিৎসাসেবা খুলনা’ অ্যাপস, বেসরকারি মানবিক সহায়তা সেলের আওতায় কর্মহীন মানুষদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌঁছে দিতে ‘ডোর টু ডোর’ অ্যাপস, ‘হাতের মুঠোয় কাঁচাবাজার’, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য ‘কৃষকের হাসি’, চাল কেনার জন্য ‘ডিজিটাল রাইস প্রকিউরমেন্ট’ অ্যাপসসহ অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ইউটিউব চ্যানেল চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খুলনা জেলা প্রশাসকের সকল সেবা ও কার্যক্রমগুলোর তথ্য জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজ মিডিয়া সেলের মাধ্যমে দ্রুত ও সহজে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দাপ্তরিক সভাগুলো জুম অ্যাপের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে জেলা প্রশাসনের এ উদ্যোগগুলো ইতোমধ্যে জাতীয় পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে।
সেমিনারে জুম অ্যাপের মাধ্যমে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হোসেন আলী খোন্দকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ ইউসুপ আলী। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মোঃ তকী ফয়সাল তালুকদার।
সেমিনারে জুম অ্যাপের মাধ্যমে খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবালসহ খুলনা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীসহ ৭৮ জন অংশগ্রহণ করেন।