‘তথ্য-সংস্কৃতি বিকাশ এবং তথ্য-ইকোসিস্টেম বিনির্মাণের মাধ্যমে ডিজিটাল কাস্টমের সম্প্রসারণ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ খুলনায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে খুলনা-মোংলা আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে আজ (বুধবার) খুলনার হোটেল সিটি ইনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, একসময় বাংলাদেশের বাজেট ছিলো বিদেশী সাহায্য নির্ভর। বিগত ৩০ বছরে বাজেটের আকার ১০ গুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু বিদেশী সাহায্য নির্ভরতা কমিয়ে এখন আমাদের বাজেটের ৯৫ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হয়। এর মূলে রয়েছে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি। এজন্য তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ধন্যবাদ জানান। মোংলা বন্দর প্রসঙ্গে সিটি মেয়র বলেন, মৃতপ্রায় বন্দরকে আওয়ামী লীগ সরকার লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। এই বন্দরকে ঘিরে চারপাশে বহু কলকারখানাসহ মোংলা ইপিজেড গড়ে উঠেছে, সেখানে প্রায় পাঁচ হাজার নারী শ্রমিক কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে। বন্দরে বিদেশেী জাহাজ আসার পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, ২০২১ সালে করোনার মধ্যেও বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পণ্যবাহী জাহাজ খালাস হয়েছে। পদ্মাসেতু চালু হলে এই বন্দরে জাহাজ আসার পরিমান বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে, সেজন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে এখনই প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান। নিয়মিত নদীখনন করে নাব্যতা বজায় রাখা এবং বন্দর সংলগ্ন রাস্তাগুলো ৬ লেনে উন্নীতকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন তিনি।
খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট (আপিল) কমিশনারেটের কমিশনার মুহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কমডোর মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, খুলনা কর আপিল অঞ্চলের কমিশনার আ স ম ওয়াহিদুজ্জামান, বাগেরহাট চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন ও মোংলা কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশন (সিএন্ডএফ) এর সভাপতি মোঃ সুলতান হোসেন খান। কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন মোংলা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোঃ মাহফুজ আহমেদ। স্বাগত জানান মোংলা কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোঃ মেহবুব হক।