চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনার খানজাহান আলী থানা এলাকায় স্থানীয় আ.লীগ নেতার নির্দেশে আলম নবী (৩৫) নামে এক বালু ব্যবসায়িকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় খানজাহান আলী থানা আ.লীগের ২ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মনিরুজ্জামান মুকুলকে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের নামে এজাহার দাখিল করেছেন আহত ব্যবসায়ির স্ত্রী পারভিন রূপা।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত শনিবার সকালে বালু ব্যবসায়ি আলম নবীকে নিজ অফিসে ডেকে হুমকি দেন আ.লীগ নেতা মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুল। এসময় তিনি এ্যাজাক্স মিলের ঘাটে বালু ব্যবসা করা যাবেনা বলে শাসিয়ে দিলে ব্যবসায়ি আলম নবী তার কথা মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে একই দিন সন্ধ্যায় ওই আ.লীগ নেতার নির্দেশে দূর্বৃত্তরা ব্যবসায়ি আলম নবীর উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা অবস্থায় দূর্বৃত্তরা আলম নবীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর শুনে ব্যবসায়ির পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও মারতে উদ্যত হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে স্থান ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা। পরে পাশ্ববর্তি লোকজনের সহায়তায় আহত আলম নবীকে উদ্ধার হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় রবিবার খানজাহান থানায় মামলা করা হয়েছে।
ব্যবসায়ি আলম নবীর স্ত্রী পারভিন রূপা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিথভাবে আ.লীগ নেতা মুকুলের নির্দেশে আমার স্বামীর উপর হামলা করা হয়েছে। তিনি আমার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি দখলে নিয়ে নিজের লোকদের সেখানে বসাতে চেয়েছিলেন। এ জন্য ঘটনার আগে থেকেই তার স্বামীকে আ.লীগ নেতা মুকুল বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে আ.লীগ নেতা মুন্সি মনিরুজ্জামান মুকুলের মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, একজন বালু ব্যবসায়িকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।