করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এবার সারা দেশের মতো খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করা হয়।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল আটটায় খুলনা টাউন জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন টাউন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালেহ। এছাড়া কালেক্টরেট জামে মসজিদে সকাল সাড়ে আটটায় একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদের জামাতে খুলনার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লীগণ অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নগরীতে টাউন জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল নয়টায় এবং তৃতীয় ও শেষ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের সাতশত ৫৫টি মসজিদে সিটি কর্পোরেশনের সহায়তায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে পৃথকভাবে নিজেদের সময় অনুযায়ী ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া খুলনা জেলার নয়টি উপজেলার প্রায় দুই হাজার নয়শত ৯৩টি মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, খুলনা বিশেষ অনুষ্ঠানমালা এবং স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে। বিভিন্ন হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, ভবঘুরে কল্যাণকেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণকেন্দ্রে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
এর আগে দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
উপজেলা সমূহেও স্থানীয়ভাবে অনুরূপ ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করা হয়।