অনলাইন ডেস্কঃখুলনা মহানগরীর পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনী এলাকায় কিশোরী (১৪)কে গণধর্ষণের ঘটনায় ৩ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গতকাল বিকেলে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত-২ এর বিচারক তরিকুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া আরও ২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই মামলায় এজাহারভুক্ত ৯ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আসামি নুরুন্নবী আহমেদ (১৮), শেখ শাহাদাৎ (২০) ও মঈন হোসেন হৃদয় (২০) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। এছাড়া অপর দুই আসামি রাব্বি হাসান পরশ (২১) ও মাহমুদ হাসান আকাশ (২১)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। মূল আসামি শান্ত বিশ্বাসসহ অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে গত শনিবার বিকেলে আসামি শান্ত বিশ্বাস মেয়েটিকে পশ্চিম বানিয়াখামার বিহারী কলোনীতে নুরুন্নবীর বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর সেখানে তাদের পূর্ব পরিচিত বন্ধুরা উপস্থিত হয়। এক পর্যায়ে শান্ত বিশ্বাসের সাথে ঘনিষ্ঠতার ছবি তুলে মেয়েটিকে ব্লাকমেইল শুরু করে। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে ৭ বন্ধু মিলে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাও মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়। পরে এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে মেয়েটির কাছে চাঁদা দাবিও করে বখাটেরা। পরে রোববার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে মেয়েটির পরিবার।