চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনায় আলোচনা সভা, মিলাদ, দোয়া এবং দুঃস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার মহান ঘোষক, রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুদলীয় গণতেন্ত্রর প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম
এর ৮৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ১১ টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নগর বিএনপির সধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আলোচনায় অংশ নেন নগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সহ সভাপতি শেখ মোশারফ হোসেন, উপদেষ্টা জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, সহ সভাপতি শেখ ইকবাল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু ও শেখ আব্দুর রশিদ, নগর যুবদল সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি একরামুল হক হেলাল ও শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান। আসাদুজ্জামান মুরাদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তির অক্ষবলয়ে অবস্থান করেও বাংলাদেশের স্বাধীন সার্বভৌম অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মতো নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই। লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা যখন মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে শাসক শ্রেণীর নতজানু ভূমিকার কারণে
বিপন্ন হতে বসেছিল, সেই সময় মেজর জিয়াউর রহমানের তেজোদীপ্ত সাহসী নেতৃত্ব সিকিম-ভূটানের পরিণতি হতে আমাদেরকে রক্ষা করেছিল।
আলোচকরা বলেন, এ জাতি যতোবার সংকটে পতিত হয়েছে, ততবারই জিয়াউর রহমান পরিত্রাতার দায়িত্ব পালন করেছেন। পাকিস্তান সেনা অফিসার হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেও ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যার মুখে আওয়ামী নেতৃত্ব যখন পলায়নপর সেই সময় সেনা বিদ্রোহ ঘটিয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক নেতারা যখণ ভারতে নিরাপদ জীবন যাপন করছেন, সেই সময় স্ত্রী-পুত্র-পরিজনদের বিপদের মুখে
ফেলে জীবন বিপন্ন করে তিনি যুদ্ধে অংশ নিয়ে পাক বাহিনীকে পযুর্দস্ত করেছেন। স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৪ বছরের
মাথায় দেশ যখন আবারও চরম সয়কটে সে সময় সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে তার হাতেই রাষ্ট্র ভার তুলে দেয়। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্নীতিতে নিঃশেষপ্রায় দেশকে নতুন করে বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করেন। শেখ মুজিবের একদলীয় বাকশাল হঠিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি চালু করেন। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করে দেশ। কলকারখানায় তিন সিফটে উৎপাদন শুরু হয়। প্রথমবার বিদেশে গার্মেন্টস পণ্য, হিমায়িত মাছ এবং জনশক্তি রফতানি শুরু হয়।
পররাষ্ট্রনীতিতে অসামান্য সফলতা ছিল জিয়াউর রহমানের। বহু দেশের সাথে তার শাসনামলেই প্রথম কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। মুসলিম দেশগুলো তাকে অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আরব-আফ্রিকা-এশিয়ার অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে অভিহিত হন তিনি। জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত সততা ও দূরদৃষ্টি ছিল সর্বজন
প্রশংসিত। তার সততা, নির্লোভ ও নিরহংকারি জীবন নিয়ে তার অতি শত্রুর পক্ষেও কোন অভিযোগ করার সুযোগ ছিলনা। বক্তারা বলেন, দেশ আবারও এক চরম ক্রান্তিকাল পার করছে।
আধিপত্যবাদী শক্তি তাদের অসৎ অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ন করতে পরিকল্পিতভাবে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করেছে। আর তাদের এদেশীয় দোসরদের চক্রান্তে জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ প্রতিহিংসার মামলায় কারাবন্দী। জিয়ার রক্তের উত্তরাধিকার তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথ রুদ্ধ করে
রেখেছে তারা। এ পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষা ও পুনঃরুদ্ধার করতে হলে জিয়াউর রহমানের রেখে যাওয়া জাতীয়তাবাদের দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোন বিকল্প নেই। আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি