আলিয়া মাদ্রাসা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিস মসজিদে এক সাথে নামাজ পড়তে পারবেন হাজার মুসল্লি
অনলাইন ডেস্কঃ বহুমুখী উদ্দেশ্য নিয়ে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসসহ নয় উপজেলায় নির্মিত হতে যাচ্ছ দৃষ্টিনন্দন ১১টি মডেল মসজিদ। সরকারি ১৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ এ কাজ বাস্তবায়ন করছে। বেশ কিছু স্থানে ইতোমধ্যে পাইলিং কাজও শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন,মসজিদগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে হজ্ব রেজিস্ট্রেশন, গণ-শিক্ষা কার্যক্রম, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে নিরুসাহিত করাসহ ইসলামিক সংস্কৃতি চর্চার অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হবে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত মসজিদ থাকলেও একই স্থান থেকে বিভিন্ন ইসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা করার মতো মডেল মসজিদ নেই। তাই এ ধরনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রতিটি বিভাগীয় ও জেলা শহরে মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসসহ ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, রূপসা, দিঘলিয়া, ফুলতলা, কয়রা, তেরখাদা, দাকোপ ও পাইকগাছা এই নয় উপজেলায় এ মসজিদ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে নির্মিত হচ্ছে ৩তলা বিশিষ্ট মসজিদ। প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি টাকা অর্থাৎ নয় উপজেলায় নির্মাণে ব্যয় হবে মোট ১১৭ কোটি টাকা। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি টাকা অর্থ্যৎ আলিয়া মাদ্রাসা ও বিভাগীয় কমিশনার অফিসে দু’টি মসজিদ নির্মাণ ব্যয় হবে ৩০ কোটি টাকা। ৪ তলা বিশিষ্ট এ দু’টি মসজিদে থাকবে রেস্টরুম, লাইব্রেরী, গাড়ি পার্কিং ও লিফট, একসাথে ১ হাজার পুরুষ ও মহিলা মুসল্লির আলাদা নামাজের ব্যবস্থাসহ দৃষ্টিনন্দন নানা পরিকল্পনা। আলিয়া মাদ্রসাসহ বেশ কিছু স্থানে ইতোমধ্যে পাইলিং কাজও শেষ হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যেই সব মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুলনার পরিচালক শাহীন বিন জামান বলেন, মজজিদগুলো নির্মিত হওয়ার পর ওইসব স্থান থেকেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে নিরুসাহিত করতে সকল দিক নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক লুৎফর রহমান সরদার বলেন, সারাদেশে মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প। তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ওইসব মসজিদে ইসলামিক সংস্কৃতিক চর্চা ও একসাথে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা হবে। এছাড়া হেফজখানা, পাঠাগার, প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কার্যক্রম, শিশু কিশোর প্রতিযোগিতা, হজ্ব রেজিস্ট্রেশন, বিদেশী মেহমানদের থাকা ও পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। পাশাপাশি নির্মান কাজ দৃষ্টিনন্দন করতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে।