চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় এক ফ্যাক্টরি সুপারভাইজারের ওপর হামলা চালিয়ে প্রায় দেড় লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার ওই সুপারভাইজারের নাম জলিল শেখ। তিনি উপজেলার নারায়ণপুর এলাকার গোপাল বিড়ি ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জলিল শেখ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণপুরের মহেন্দ্র মাতুব্বরের বাড়ির সামনে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পরে ওই রাতেই জলিল শেখের ছেলে মো. রাজু শেখ বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার দিনব্যাপী বটিয়াঘাটা থানাধীন নারায়ণপুর গ্রামস্থ গোপাল বিড়ি ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার জলিল শেখ বিভিন্ন এজেন্টের নিকট থেকে ফ্যাক্টরির দেড় লাখ টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর রাতের দিকে মোটরসাইকেলযোগে ফ্যাক্টরি থেকে খুলনায় যাওয়ার উদ্দেশে আব্দুর রউফকে সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা হন তিনি। পথিমধ্যে নারায়ণপুর এলাকার মহেন্দ্র মাতুব্বরের বাড়ির সামনে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মিঠুন শেখ, ফিরোজ শেখ, রমজান গাইন ও জনি ফকির নামে কয়েকজন জলিল শেখের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এতে বাঁশ দিয়ে চলন্ত মোটরসাইকেলে আঘাত করলে জলিল শেখ ও আব্দুর রউফ সড়কের ওপর উল্টে পড়েন। পাশাপাশি আব্দুর রউফ ছিটকে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যান। এ সময় অভিযুক্ত আসামিরা হাতুড়ি, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে জলিলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এতে গুরুতর জখম হন তিনি। এক পর্যায়ে তারা জলিল শেখের পকেটে থাকা দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ দিকে, গুরুতর আহত জলিল শেখের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসে। পরে অভিযুক্তরা জলিল শেখকে খুন করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে স্থানীয়রা গুরুতর আহত জলিল শেখকে উদ্ধার করে খুমেকে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বটিয়াঘাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ জানান, মামলার পর রাত ১টার দিকে ১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি মিঠুন শেখকে আমিরপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় বাকি আসামিদের গ্রেফতারসহ ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধারের পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।