বিজ্ঞপ্তি : অবিলম্বে জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। একই সাথে তিনি নির্বাচন কমিশনসহ পুলিশ-র্যাব-গোয়েন্দা সংস্থা ও জনপ্রশাসনের যে সব শাখা মধ্যরাতের ভোট ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল তার সবগুলি পুর্নগঠনেরও দাবি জানিয়েছেন।
৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবসে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতির মাধ্যমে জনগনের ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ দাবি জানান। সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠনের নগর ও জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেন, সেদিন জেলা প্রশাসক-পুলিশ কমিশনার-পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা মিটিং করে নৌকাকে জেতানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। র্যাব-পুলিশ-বিজিবি-গোয়েন্দা সংস্থা পাড়ায় মহল্লায় দুরমুজ বাহিনীর ন্যায় আচরণ করেছিল। পোলিং এজেন্টদের গণগ্রেফতার, কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তান্ডব চালিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। সারা দেশে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত প্রার্থীরা প্রশাসনের কাছে আশ্রয় পায়নি। গণতন্ত্রের হাজার বছরের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দেওয়ার দায়ে আওয়ামী লীগকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দিবসটি স্মরণে আমরা কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ করেছি। কালো পতাকার মাহাত্ম্য কি তা শেখ হাসিনা বোঝেন না। যেমনটি বুঝতেন না তার পিতা। পিতা চেয়েছিলেন বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেন। আর শেখ হাসিনা চান সব কিছুকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা দখলে রাখতে। কিন্ত তার স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। জনবিরোধী দেশবিরোধী লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে জনগনের আন্দোলনের বিজয় হবে।
সভা থেকে প্রতিহিংসার মামলার রায়ে কারাবন্দী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সারা দেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মনিরুজ্জামান মন্টু, খায়রুল ইসলাম জনি, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, রেহানা আক্তার, মাহবুব হাসান পিয়ারু, মুজিবর রহমান, হেলাল আহমেদ সুমন, মোল্লা কবির হোসেন, জুলকার নাইন প্রমুখ। আসাদুজ্জামান মুরাদের পরিচালনায় সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহজালাল বাবলু, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, ডাঃ আব্দুল মজিদ, আব্দুর রকিব মল্লিক, সাইফুর রহমান মিন্টু, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, আশরাফুল আলম নান্নু, মেহেদী হাসান দীপু, মহিবুজ্জামান কচি, শাহিনুল ইসলাম পাখী, ইকবাল হোসেন খোকন, শামসুল আলম পিন্টু, সাদিকুর রহমান সবুজ, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, আনিসুর রহমান, ইশতিয়াকউদ্দিন লাভলু, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মুর্শিদ কামাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, একরামুল হক হেলাল, আব্দুল আজিজ সুমন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, কামরান হাসান, নাজমুস সাকিব পিন্টু, সুলতান মাহমুদ, শেখ সরোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, শাহাদাত হোসেন ডাবলু, হাফেজ আবুল বাশার, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, খন্দকার ফারুক হোসেন, সেলিম সরদার, হাফিজুর রহমান মনি, হাসানউল্লাহ বুলবুল, বদরুল আনাম, আবুল কালাম শিকদার, হাসান মেহেদী রিজভী, তরিকুল্লাহ খান, আফসারউদ্দিন মাস্টার, আব্দুল লতিফ, শাহাবুদ্দিন মন্টু, ইসহাক তালুকদার, লিটন খান, গিয়াসউদ্দিন বনি, মেজবাহউদ্দিন মিজু, নাসির খান, বাচ্চু মীর, আবু সাঈদ শেখ, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, মেহেদী হাসান সোহাগ, এইচ এম আসলাম হোসেন, আকরাম হোসেন খোকন, হাসনা হেনা, মাহমুদ আলম বাবু মোড়ল, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আলমগীর হোসেন, শামসুর রহমান, ইমতিয়াজ আলম বাবু, কাজী মাহমুদ আলী, নিঘাত সীমা প্রমুখ।
এর আগে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা এবং জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল সমাবেশে যোগ দেয়। সকালে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সমাবেশে উপস্থিত নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।