কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেন, ভবিষ্যতে তাদের বিচার এদেশের মাটিতেই হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যুদ্ধাপরাধের সামিল। যারা জিয়াউর রহমানের খেতাব এবং লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া করেন, তারা সব মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করেছেন। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে রেহানা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সাংসদ মঞ্জু আরো বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে, তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে বলেই মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের অংশগ্রহণ নিয়ে কথা বলছে। জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে সার্টিফিকেট দেয়ার অধিকার কারও নেই। এ কথার মাধ্যমে তারা নোংরা রাজনীতির চর্চা করছে। জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এক চিরন্তন সত্য। এসব নিয়ে নোংরা কথা বলে মিডনাইটের ভোটে নির্বাচিত সরকার জাতিকে বিভ্রান্ত করতে চায়। আওয়ামী জনবিচ্ছিন্ন কর্তৃত্ববাদী ভোটারবিহীন সরকারের অবস্থা সন্ত্রাসীদের মতো। এই অবৈধ সরকারগুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ ও সন্ত্রাস চালিয়ে রাষ্ট্রে এক ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এর মাধ্যমে জনগণকে স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। জনগণকে ভয় দেখিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চালু রাখতেই সরকার আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের অপহরণের পর গুমের মতো লোমহর্ষক কর্মকা- চালু রেখেছে। মঞ্জু আরো বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যিনি অপসহীন সংগ্রাম করলেন তিনি এখনো গৃহবন্দি। গনতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এবং অবৈধ সরকার হঠাও আন্দোলন সফল করতে মহিলা দলকে আরো শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম ও আসাদুজ্জামান মুরাদ। সভায় উপস্থিত ছিলেন এড. কানিজ ফাতেমা আমিন, কোহিনুর বেগম, আনজিরা খাতুন, মুন্নি জামান, রোকেয়া ফারুক, এড. হেনা, শেখ সাথী আমিন, লায়লা আঞ্জুমান, ইসমত আরা কাকন, লিলি বেগম, চমন আক্তারসহ আরও অনেকে। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন কাওসারী জাহান মঞ্জু। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে দলের মহিলা কর্মিদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এর আগে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বেলুন, ফেস্টুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হয়।