চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনায় যুবলীগ করতে হলে প্রত্যেক নেতাকর্মীদের ডোপ পরীক্ষা দিতে হবে। নেতাকর্মীরা মাদকাসক্ত কিনা তা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে খুব শীঘ্রই দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে সবাইকে জানানো হবে। এমন সিদ্ধান্তকে প্রশংসনীয় বলে দাবি করেছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। এর ফলে খুলনা মহানগর যুবলীগের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায় চালু হতে যাচ্ছে বলে অভিমত তাদের। তবে সিদ্ধান্ত একবার নিলে তা যেনো সত্যিকারে বাস্তবায়ন হয় সেটাই প্রত্যাশা সকলের।
সূত্র জানায়, গতকাল রবিবার খুলনার ২৩ জন সরকারি কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। সর্বপ্রথম খুলনা থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। খুলনার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, উপ-পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অন্যান্যা ডোপ টেস্ট পরীক্ষা করেন এবং সকলেই উত্তীর্ণ হন। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশও যুবলীগ নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন।
গতকাল রবিবার রাতে নগর যুবলীগের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান পলাশ এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের ডোপ টেস্ট করা সরকারের একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এ উদ্যোগে সামিল হতে খুলনা মহানগর যুবলীগের নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে এরকম ডোপ টেস্ট চালু হলে দেশে মাদকের বিরুদ্ধে এক অসাধারণ জাগরণ সৃষ্টি হবে।’
খুলনা মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন বলেন, ‘খুলনা মহানগর যুবলীগকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাই। খুলনা মহানগরীর অন্তর্গত বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ডে নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের ডোপ টেস্ট করা হলে সেটি দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। এমন উদ্যোগের অংশ হওয়া গর্বেরও। অল্প সময়ের মধ্যে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এদিকে খুলনা মহানগর যুবলীগে এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। নগরীর ২৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন লাবু বলেছেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত। এজন্য মহানগর যুবলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম কচি বলেন, ‘এটা অনেক ভালো উদ্যোগ। সিদ্ধান্ত একবার নিলে তা যেনো সত্যিকারে বাস্তবায়ন হয় সেটাই প্রত্যাশা থাকবে সবসময়। তবে আগে কেন্দ্র থেকে এই সিদ্ধান্ত নিলে স্থানীয় পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন সহজ হবে।’
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মো. মেহেদী হাসান রাসেল বলেন, এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে খুলনা মহানগর যুবলীগের রাজনীতিতে নতুন এক অধ্যায় চালু হতে যাচ্ছে। সরকারের এমন উদ্যোগে অংশ নিলে যুবলীগের মহানগর ইউনিট দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।