খুলনা বিভাগের সার্কিট হাউজ, বাংলো, রেস্ট হাউজের কর্মচারীগণের জন্য ‘নিরাপদ রান্না, কিচেন ব্যবস্থাপনা, হাউজ কিপিং ও টেবিল এটিকেট’ শীর্ষক ৬ দিনব্যাপী কর্মশালা-২০২২ উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টায় খুলনা মহানগরীর ৭৩/৩ কেডিএ এভিনিউয়ে টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টে এ কর্মশালা উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলাম।
খুলনা শহরে এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ খাদ্য এটাই আমাদের মূল থিম। নিরাপদ খাদ্যের পাশাপাশি কিচেন ব্যবস্থাপনা, টেবিল এটিকেট এসব বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। রন্ধনশীল্পে নিরাপদ খাদ্য বিষয়টি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু আজকের জন্য নয় এটাকে অনেক আগে থেকেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের উপর গুরুত্ব দিয়ে সরকার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ করেছে। এছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর রয়েছে। যারা সবাই কাজ করছে। তাদের একটি উদ্দেশ্যে নিরাপদ খাদ্য সবার কাছে তুলে দেওয়া। বিশেষ করে যারা হোটেল ম্যানেজমেন্টের সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন তারা সহ সবার উদ্দেশ্যে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দেওয়া। আর এটি পৌঁছাতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থী নিয়ে ৬ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা শহরে এডমিনিস্ট্রেটিভ কনভেনশন সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও কোর্স সমন্বয়ক আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম।
এ কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছে টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টের প্রধান উপদেষ্টা বিশ্ব বিখ্যাত শেফ টনি খান , জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম মালিক, প্রতিষ্ঠানে ভাইস পিন্সিপাল সাইফুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানের কো-অর্ডিনেটর আসিশ বৈরাগী, সিনিয়র ইনেস্ট্রাকটর রাঁধুনী ১৪২৭-এর দ্বিতীয় স্থান অধিকারী রন্ধনশিল্পী নাদিয়া নাতাশা, ইনেস্ট্রাকটর রেহেনা মোর্তজা, নাজনীন আশরাফ লাইজু ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টনি খান হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টে চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
শেফ টনি খান বলেন, দেশে-বিদেশে শেফদের চাহিদা বর্তমানে তুঙ্গে। দেশে বর্তমানে পাঁচতারা রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ছোটোখাটো রেস্টুরেন্টেও এখন বাবুর্চির বদলে শেফ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। শেফ হিসেবে বিদেশেও যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেশের হোটেল রেস্টেুরেন্টে ১০ লাখ লোকের চাহিদা রয়েছে। দেশে আরও ১৬টি নতুন হোটেল আসতেছে। ইউকে ও জার্মানিতে ৪ লাখ লোক চাচ্ছে। অথচ আমাদের দক্ষ লোক নেই। ট্রেনিং ছাড়া কোন বিকল্প নেই। একটি গ্লাস ধরতেও ট্রেনিং লাগে।
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজম মালিক বলেন, রন্ধনশিল্প একটি বিশাল ক্ষেত্র। শেফ পেশায় চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রান্নান বিভিন্ন দিক, রান্না ঘরের খুঁটিনাটি বিষয় এবং খাবারের গুণগত মান, স্বাস্থ্যবিধি ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিশদভাবে ধারণা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যারা খাবার রান্না ও পরিবেশন করেন তাদের সবার এখন প্রশিক্ষণ নেওয়া সময়ের দাবি। এছাড়া হোটেল রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় একজন দক্ষ শেফ রাখার দাবি জানান তিনি।