সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাংলাদেশী শ্রমিক ছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি নিজেকে শ্রমিক হিসেবে গর্ববোধ করতেন মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম ও বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছিলেন দেশের এমন কোনও ক্ষেত্র নাই যেখানে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমানের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগের আমলে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমেছে। সরকারই পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। দেশের মানুষের জান-মালের কোনও নিরাপত্তা নেই। বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশকে আপদ বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ নেই। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ জাতিকে এবং দেশকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকাল ৯টায় খুলনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের খুলনা বিভাগীয় বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতার মোহে ক্ষমতাসীনরা জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা ধ্বংস করে দিচ্ছে। এক দিকে হাতেগোনা কিছু মানুষ বিপুল সম্পত্তির মালিক হচ্ছেন, অন্য দিকে কোটি কোটি মানুষ আরো দরিদ্র হচ্ছেন। নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছেন। এ রকম বৈষম্য বাড়ানোর জন্য তো আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করি নাই। আজকে আমরা যারা হালাল রোজগার করি আমাদের সংসার চলে না।
প্রশিক্ষনে প্রধান আলোচক শ্রমিকদলের প্রধান সমন্বয়ক এ্যাড, শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক, নারী-পুরুষ সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। সমস্ত দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, শুধু কিছু রাজাকার ছাড়া। দেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও আমাদের যে চাওয়া ছিল, আমাদের যে পাওয়া ছিল তা আমরা পায়নি। বাংলাদেশের ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, কথা বলার অধিকার, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার অধিকার, এই মুহূর্তে ভোট চোর সরকার তা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারছে না। শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারাজী মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করেন শ্রমিকদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এড. নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেহেদী আহমেদ রুমী, বিএনপি জাতীয় স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ডঃ এ বি এম ওবাইদুল ইসলাম, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. আসাদুজ্জামান আসাদ, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মহানগর বিএনপির আহবায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খাঁন, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন প্রমূখ।
বুনিয়াদী প্রশিক্ষনের খুলনা বিভাগের ৩০০ শতাধিক শ্রমিক নেতা অংশগ্রহন করেন। বিকাল পৌনে ৫টায় সমাপনি অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুস সামাদ, মজিবর রহমান ও শফিকুল ইসলাম শফি।