স্বাস্থ্যকর শহর প্রকল্পের আওতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এর প্যানেল মেয়র ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় সভা আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নগরীর সিটি ইন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার একটি স্বাস্থ্যসেবা। জনগণের স্বাস্থ্যসেবার অধিকার নিশ্চিতে সিটি কর্পোরেশনের একটি আলাদা বিভাগ কাজ করছে। নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো কেসিসি মনিটরিং করে থাকে। স্বাস্থ্যকর খুলনা গড়তে সোলার পার্ক, লিনিয়ার পার্ক, খালিশপুর শিশু পার্ক আধুনিকায়ন করা হচ্ছে এবং আরো নতুন পার্ক স্থাপন করা হবে। নগরীতে ৩০টি পুকুর সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুলনায় আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য তিনশত ৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে।
সভায় জনানো হয়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেতৃত্বে এবং বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি সহায়তায় খুলনায় ‘স্বাস্থ্যকর শহর: সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণে নগর প্রশাসন’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশ^স্বাস্থ্য সংস্থা মেক্সিকো সিটি, তিউনিস, ক্যামেরুন, বোগোটা এবং বাংলাদেশের খুলনাসহ বিশে^র এই পাঁচটি শহরকে স্বাস্থ্যকর হিসেবে গড়ে তুলতে প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। এর মাধ্যমে খুলনা হতে যাচ্ছে উন্নয়শীল বিশে^র স্বাস্থ্যকর শহরের একটি রোল মডেল। বাংলাদেশে মানুষের মৃত্যুর ৬৭ শতাংশই হয় অসংক্রামক রোগের কারণে। অসংক্রামক রোগের প্রধান কারণসমূহ: অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস, তামাক ব্যবহার, অ্যালকোহল পান, অপর্যাপ্ত শারীরিক শ্রম ও বায়ুদূষণ। এর ফলে সাধারণ মানুষ উচ্চ-রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, সিওপিডি ও মানসিক অসুস্থতার মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়, যা সহজেই প্রতিরোধযোগ্য। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাব্যয় নির্বাহ করতে বছরে চার শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যায়। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবার মানুষকে রোগাক্রান্ত করে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ রোবেদ আমিনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত জানান খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডাঃ জসিম উদ্দিন হাওলাদার। এসময় কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোঃ আজমুল হক বক্তৃতা করেন। সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তার অংশগ্রহণ করেন।