চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনাতে এসএসসি ২০০৭ ও এইচ এস সি ২০০৯ ব্যাচের একটি মহতি উদ্যোগে এলাকার গরীব ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের মোকাবেলা করতে যে সমস্থ গরীব অসহায় দিনমজুর মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। এবং পরিবারের জন্য তারা খাদ্য যোগান দিতে ব্যার্থ হচ্ছে সে সমস্থ পরিবারে গিয়ে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিয়েছে এসএসসি ২০০৭ ও এইচ এস সি ২০০৯ খুলনা বিভাগের বন্ধুরা ।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) বিকালে বন্ধুরা মিলে নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের একটা বস্তিতে তারা এই খাবার বিতারণ করেন।
তারা জানায় দেশে এখন মরণঘাতী করোনা ভাইরাস মানুষের চলমান জীবনকে বাধাগ্রস্থ করছে। সেই সাথে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশে গরীব ও অসহায় মানুষগুলো ঘরথেকে বের হতে পারছে না। এজন্য আমরা আমাদের বন্ধুদের অর্থায়নে ১০৪ টি পরিবারের খাদ্যের ব্যবস্থা করে পৌছে দিয়েছি তাদের ঘরে ঘরে। আমাদের ক্ষুদ্র চেষ্টা ছিলো যে অসহায় পরিবার গুলি অন্তত পক্ষে তাদের সাময়িক ক্ষতি আমাদের এই প্রচেষ্টা মাধ্যমে সামান্য হলেও পুষিয়ে নিতে পারে।
তারা জানায় ভবিষ্যতে তারা যেন এলাকার মানুষের জন্য আরও সেবামূলক কাজ করতে পারে। তারা আরও জনায় এরকম ভাবে যদি সমাজের বিত্তশালী মানুষগুলো গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতো তাহলে যেকোন দূর্যোগে আমরা ভেঙ্গে পড়বো না। সেজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা একান্ত কাম্য। তাদের খুলনার বন্ধু মহলে অন্যতম বান্ধবী জুবি ওয়ালিয়া টুই বলেন, আমাদের ব্যাচ ০৭-০৯ শুধু খুলনা বিভাগ নিয়ে কাজ করছে না । আমাদের ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে আমরা এখন প্রায় ১ লক্ষ বন্ধুকে একত্রিত করেছি আর সেই সূত্র ধরে সমগ্র দেশে আমাদের এই কার্যক্রম চলছে ও চলবে। তারা আরো বলেন আমরা যে যেখানে আছি এবং যেভাবে পারি এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ এবং উদ্যোগ কে সফল করার চেষ্টা করে যাব ইনশাআল্লাহ।
ব্যাচের আর এক বন্ধু শরীফুল বাবু বলেন, আমরা আমাদের এই কার্যক্রম চলমান রাখতে চাই আমাদের এই ক্ষুদ্র চেষ্টার মাধ্যমে সামাজিক অসহায় মানুষের মুখের সামান্য হলেও ক্লান্তি দূর হবে আশা বাদি। আমরা আমাদের ভালবাসার কোড০৭-০৯ ইতি মধ্যে সারা দেশে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে।
আশাবাদি এভাবে সকল প্রকার সামাজিক কাজে আমরা থাকবো।
তাদের এ উদ্যোগ সফল করতে এবং জনসেবামুলক কাজের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে ছিলেন খুলনা বিভাগের ০৭-০৯ ব্যাচের শরীফুল বাবু, জুবি,হীরা ইসলাম , টগর, মুক্তা হাফিজ, শোভন, এইচ আর তানজির, হীরক, মোঃ শাহীন, টুটুল, সুজন, মারিয়া, জয়ন্ত,ইমরান, তৃষ্ণা , মুক্তা মনি, মুক্তাখান, অনি, তপন, সজল, ঈশিতা, তন্ময়, পঙ্কজ , আনিস, খায়রুল,পলাশ, প্রমুখ। এছাড়াও ব্যাচের বাহিরে থেকেও সব সময় অবিভাবক হিসাবে ছিলেন রাজিয়া সুলতানা।