কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) সংক্রমনে খুলনা মহানগর ও জেলায় ১৮টি হলুদ জোন বা মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রয়েছে। এসব এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল ও কাজ করা যাবে বলে জানিয়েছেন খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়। গত ১৪দিনের হিসাবে এই এলাকাগুলোকে হলুদ জোনে অবস্থান করছে। প্রতিদিনই এই তালিকা হালনাগাদ করছে দপ্তরটি।
হলুদ জোন বা মাঝারী ঝুঁকিতে রয়েছে- খুলনা মহানগরীতে ৪, ৬, ১১ ও ১৪নং ওয়ার্ড। আর জেলার রূপসায় নৈহাটি, টিএস বাহিবাদিয়া ইউনিয়ন; তেরখাদায় মধুপুর ও তেরখাদা সদর, ফুলতলায় দামোদর ও ফুলতলা সদর; পাইকগাছার কপিলমুনি; ডুমুরিয়ায় রঘুনাথপুর ও রুদাঘরা; দিঘলিয়ায় দিঘলিয়া সদর; বটিয়াঘাটা উপজেলার বটিয়াঘাটা সদর ও গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন; দাকোপের বাজুয়া ও চালনা। তবে প্রতিদিনই রোগী যুক্ত হওয়া বা সুস্থ হওয়ার ভিত্তিতে এই তালিকা পরিবর্তন হয়।
হলুদ জোন বা মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি:
১। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কৃষিকাজ করা যাবে।
২। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কলকারখানা ও কৃষিপণ্য উৎপাদন কারখানায় ৫০% কর্মী কাজ করবে এবং কারখানাতে ৩৩% কর্মী বর্ধিত শিফটে কাজ করা যাবে।
৩। স্বাস্থ্যবিধি মেনে- অফিসে ৫০% কর্মী কাজ করবে। বাকিরা বাসা থেকে কাজ করবে।
৪। ৩০জনের বেশি জনসমাবেশ করা যাবে না।
৫। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধুমাত্র প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হতে পারবে। রিকসা ভ্যান, সিএনজি টেক্সীতে একজন করে চলাচল করবে। নিজস্ব গাড়ি চলাচল করতে পারবে।
৬। সড়ক পথ , নদী পথ ও রেলপথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করা যাবে।
৭। জোনের ভেতরে ও বাহিরে মালবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
৮। মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবারের দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে।বাজারে শুধুমাত্র প্রয়োজনে যাওয়া যাবে। শপিং মল, সিনেমা হল, জিম/স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৯। টাকা জমাদান ও উত্তোলন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে করা যাবে।
১০। সনাক্ত রোগীরা আইসোলেশনে (বাড়িতে বা আইসোলেশন সেন্টারে) থাকবে।
১১। মসজিদ বা উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করা যাবে। (সূত্র: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর)