খুলনা মহানগরীর খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালী গ্রামের তিন খুনের ১৭ দিন পর আসামি জাফরিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ রোববার রাতে জাফরিনের মামার বাগান বাড়ির ডোবা থেকে দুটি অস্ত্র এবং তাদের কবরস্থান থেকে গুলি উদ্ধার করেছে। তবে মামলার প্রধান আসামি শেখ জাকারিয়া ও শেখ মিল্টনসহ ১৮ আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাত আনুমানিক সোয়া ৮টার দিকে মহানগর ডিবি পুলিশের একটি টিম মশিয়ালী গ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। পুলিশের টিমটি জাফরিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের কবরস্থানে এবং তাদের মামা খোকন সরদারের বাগানে অভিযান চালায়। খোকন সরদারের বাগানের ডোবার মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় গুলিভর্তি দুটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার হয় এবং জাফরিনদের কবরস্থান থেকে গুলি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ আরো কয়েকটি স্থানে অভিযান চালিয়ে মশিয়ালী গ্রাম ত্যাগ করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) কানাই লাল সরকার অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জাফরিন হাসান রিমান্ডে থাকাকালীন সময়ে অস্ত্র ও গুলির সন্ধান দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম মশিয়ালী গ্রামে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যান। মশিয়ালীর শেখ বাড়ির কবরস্থান থেকে তিন রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ এবং সরদার বাড়ির পিছনের ডোবা থেকে একটি প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগের ভিতরে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় দুটি দেশী ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, মশিয়ালী গ্রামে একটি মসজিদ ও এতিমখানার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই জাকারিয়া ও তার দুই ভাই জাফরিন ও মিল্টন এলাকার মুজিবর নামের এক শ্রমিককে অস্ত্র ও গুলি দিয়ে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। পুলিশ মুজিবরকে না ছাড়ায় গ্রামবাসী মশিয়ালীতে ফিরে আসে। তারা জাফরিনের বাড়ির সামনে গেলে কলাবাগানের মধ্যে থেকে বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ করে জাকারিয়া-জাফরিন-মিল্টনরা। গুলিতে ঘটনাস্থলে মারা যান মিল শ্রমিক নজরুল ইসলাম, দিনমুজুর গোলাম রসুল এবং হাসপাতালে চিৎিসাধীন অবস্থায় মারা যান কলেজছাত্র সাইফুল ইসলাম।