চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা কর অঞ্চলে ২০১৮-১৯ করবর্ষে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি।এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থ বছরে কর আদায়ের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার ৮৪০ কোটি টাকার বিপরীতে প্রথম প্রান্তিকেই ৬২৯ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। যা প্রথম চার মাসের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
আয়কর মেলা ও সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান উপলক্ষে সোমবার দুপুরে কর ভবনে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কর কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।এতে জানানো হয়, ২৪ হাজার নতুন করদাতা শনাক্তকরণ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ইতোমধ্যে ৩৪ হাজারের বেশি নতুন করদাতা টিআইএন নিবন্ধন গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে খুলনা কর অঞ্চলের মোট টিআইএন ধারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় তিন লাখ ৬৫ হাজার। আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর খুলনা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে সাত দিনব্যাপী আয়কর মেলায় সহজ, ভোগান্তিমুক্ত ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আয়কর মেলায় ৪২টি স্টল থাকবে। রিটার্ন জমা, নতুন টিআইএন গ্রহণ, ব্যাংকের বুথসহ সংশ্লিষ্ট সকল সেবা মেলার স্টলেই মিলবে।
এছাড়াও আগামী ১৩ নভেম্বর সকালে খুলনা সিটি ইন হোটেলে ২০১৮-১৯ করবর্ষে সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী তরুণ করদাতা, সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী মহিলা করদাতা এবং দীর্ঘ সময় কর প্রদানকারীসহ খুলনা কর অঞ্চলের ৭৭ জনকে সম্মাননা জানানো হবে।
সম্মাননার জন্য নির্ধারিত করদাতারা হলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মো. আবু বকর শেখ, সৈয়দ আবু নাসের, খান সাইফুল ইসলাম, মো. আব্দুল হামিদ সরদার, এস, এম মনিরুজ্জামান শাহীন, কাজী সানোয়ার হোসেন ও মিজ সাবিত্রী আগরওয়ালা। খুলনা কর অঞ্চলের মো. আব্দুল মজিদ সানা, মো. আনোয়ার ইকবাল, জিয়াউল আহসান, মো. শামীম আহসান, শেখ ইবাদত হোসেন, মো. নূর-এ-আলম সিদ্দিকী ও মিজ লায়লা আকতার।
সাতক্ষীরা কর অঞ্চলের বিশ্বজিৎ সাধু, মো. আবু হাসান, মো. আক্কাজ আলী, মো. আশিকুর রহমান (আশিক), দিপংকর কুমার ঘোষ, গোলাম আকবর ও মিজ নিলুফা ইয়াসমিন।
বাগেরহাট কর অঞ্চলের গৌর চন্দ্র সাহা, মিজ লিপিকা রানী দাস, রাম কৃষ্ণ বসু, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মীর রহমত আলী, মো. এখলাছুর রহমান ও মিস পপি আক্তার।
যশোর কর অঞ্চলের মো. গোলাম মোরশেদ, মো. আনছারী হোসেন সোহেল, নিমাই চন্দ্র দত্ত, মো. নূর হোসেন, আবু নাসের সরকার, মো. তৌফিকুর রহমান ও মিজ রাফফাত আরা ডলি।
কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মো. ইবাদত আলী, মো. মজিবর রহমান, মো. মফিদুল ইসলাম খান, মো. পারভেজ রহমান, মিস সেলিমা বেগম, মো. জিয়াউল হক ও মিস পারভীন রহমান।
মাগুরা কর অঞ্চলের খোন্দকার আমির হোসেন, মো. শাহীনুর রহমান পিকুল, মো. সামছুল হক, মকবুল হাসান মাকুল, মো. মেহেদী হাসান রাসেল, মো. ফয়সাল আহাম্মেদ ও ডা. সুপর্ণা আহমেদ।
নড়াইল কর অঞ্চলের মো. হুমায়ুন কবীর, এম, এম রেজাউল আলম, আজিজুর রহমান ভুঁইয়া, মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জাহিদুল ইসলাম, মো. ইমদাদুল ইসলাম ও মিজ উম্মে রেজওয়ানা।
ঝিনাইদহ কর অঞ্চলের সৈয়দ শাহজাহান আলী, মো. মিজানুর রহমান লিটন, মো. ফজলুল করিম মিন্টু, নিখিল কুমার পাল, শামিম হোসেন মোল্লা, মো. রাশিদুর রহমান ও ডা. মোছা. মারফিয়া খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা কর অঞ্চলের মো. শহিদুল হক মোল্লা, দিলিপ কুমার আগরওয়ালা, মো. খোরশেদ আলম, মিস সবিতা আগরওয়ালা, মিস সাইফুন্নাহার আক্তার শাম্মী, আবু তাহের মো. হাসানুজ্জামান ও মিস আক্তারী জোয়ার্দার।
মেহেরপুর কর অঞ্চলের মো. গিয়াস উদ্দিন, অজয় সুরেকা, মো. আবুল কাশেম, মো. আব্দুল হান্নান, মো. আব্দুস সামাদ বিশ্বাস, মো. আরিফ শেখ ও মিস হামিদা খানম।
সভায় আরও জানানো হয়, ২০১৮ সালের খুলনা কর অঞ্চলের আয়কর মেলায় ৪২ কোটি আট লাখ ১৪ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের পাশাপাশি এক হাজার ৪৫৩ জন নতুন করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, বিভাগীয় শহর খুলনার ন্যায় খুলনা বিভাগের অবশিষ্ট নয়টি জেলা ও ছয়টি উপজেলায় অনুরূপ কর মেলা অনুষ্ঠিত হবে।সভায় খুলনা কর অঞ্চলের কর কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, ‘কর বিভাগ করদাতাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং বন্ধু। খুলনা কর বিভাগও করদাতাদের বন্ধু হতে চায়। কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি অর্জিত সম্পদের বৈধতা নিশ্চিত হয়।