নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনায় করোনাকালীন সময়ে ওয়াসার আকাশচুম্বী বিল। খুলনার বিভিন্ন এলাকায় ওয়াসার পানির বিল শতকের ঘর থেকে হাজারের ঘরে এসেছে। সকল বিল পরিশোধের পরেও কারোনাকালীন সময়ে এমন বিল পেয়ে হতাশ গ্রাহকেরা।
খালিশপুরের একজন ভুক্তভোগী জানান, সারাবছর বিল আসত দেড়শ থেকে ২শ’ টাকা। তবে এ মাসে বিল এসেছে ৪ হাজার ৩৯৭ টাকা। দেশের এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ এমন বিল পরিশোধ তার পক্ষে কষ্টকর৷ তিনি আরও জানান, গত মে মাসের বিলও পরিশোধ। তাহলে এক মাসের পানির বিল এত টাকা হয় কিভাবে!
এ বিষয়ে ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক এম খাদেমুল ইসলাম জানান, আমরা থার্ড পার্টির মাধ্যমে এতদিন যাবৎ মিটারের রিডিং নিয়ে আসছি। তারা মিটার না দেখেই ইচ্ছা মত বিল করত। সঠিক রিডিং না তোলার কারণে, অনেকেরই মিটারের বর্তমান রিডিং অনুযায়ী অনেক বিল বকেয়া হয়েছে। আমরা সেই বিল গুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকার নিচে কিস্তিতে বিল করছি। এটা রিডিং ম্যানের ভুল, তা আমি স্বীকার করছি৷ তবে বাড়ির মালিকদের প্রতি মাসে মিটারের রিডিং চেক করা উচিৎ ছিলো।
অপর এক ভুক্তভোগী জানান, রিডিংম্যানের ভুলের দায়ভার ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে। এতদিনের বিল এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। মিটার লাগানোর পূর্বে আমরা যেমন বিল দিয়ে এসেছিলাম মিটার লাগানোর পরেও তার থেকে বেশি তফাৎ না হওয়ায়, এটাকে আমরা স্বাভাবিক হিসাবে মেনে নিয়েছিলাম। তবে করোনাকালীন মুহূর্তে এই বকেয়া বিল পরিশোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। দেশের বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে ওয়াসা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। অপরদিকে নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক ভুক্তভোগি জানান,শুরু থেকেই খুলনা ওয়াসার বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক এম খাদেমুল ইসলাম অদক্ষতার কারনে গ্রহকদের হয়রানীর স্বীকার হতে হচ্ছে। ওয়াসার বাণিজ্যিক বিভাগের বিটার রিডার গ্রহকদের মিটার পরিদর্শন না করেই বিল প্রদান এবং একই বিল দ্বিতীয়বার দেয়ার অভিযোগ নিত্য দিনের । পাশাপাশী করোনা ভাইরাসের এ মহামারীর সময়ে ওয়াসার অযোগ্য বাণিজ্যিক কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম মিটার রিডারদের দিয়ে গ্রাহকদের মোটা অংকের বিল ধরিয়ে দিচ্ছে ।