চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসুন্দরবন পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার” নামে বোতলজাত পানি উৎপাদন ও তা শিগগিরই বাজারজাতকরণে কার্যক্রম গ্রহণ করেছে খুলনা ওয়াসা। গতকাল সোমবার পরিবেশক নিয়োগের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি চালু হলে প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানি উৎপাদন হবে। যার মাধ্যমে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় হবে ওয়াসার।
জানা গেছে, সংস্থাটির পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬ সালের গোড়ার দিকে রায়েরমহল এলাকায় বোতল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে ওই সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ মেশিন ট্যুরস ফ্যাক্টরী লিমিটেড-এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্তৃপক্ষের চুক্তি সম্পাদিত হয়। যাবতীয় চুক্তিপত্র সম্পন্নের পর ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই বছর জুন মাসে প্লান্টটির আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। যার কাজ সমাপ্ত হয় ২০১৮ সালে। ১৪ কাঠা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত দ্বিতল বিশিষ্ট এ ভবনে প্রোডাকশন টিউবওয়েল, ম্যাকানিক্যাল সরঞ্জাম, বোতলের কাঁচামাল, ওয়াটার প্রি-ফিকেশনের মাধ্যমে পানি উৎপাদন করে বোতলজাত করে বাজারজাত করা হবে। প্লান্টতিতে ৩শ’, ৫শ’, ১, ২ ও ৩ লিটারের পানির বোতল এবং ২০ লিটারের জার উৎপাদন করা হবে। যা শিগগির বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসছে।
প্রকল্প পরিচালক ডি এম কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে প্লান্টের সকল কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আজ (সোমবার) পরিবেশক নিয়োগের উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এখন পরিবেশক নিয়োগ হলে পানি উৎপাদনের বাজারে বিক্রি সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে এটি চালু হলে প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার বোতলজাতকৃত বিশুদ্ধ খাবার পানি উৎপাদন হবে। মানুষ ওই বোতলজাতকৃত পানি নিত্য-নৈমিত্তিক পান করাসহ বিভিন্ন সামাজিক আচার অনুষ্ঠান ও সভা- সেমিনারে ব্যবহার করতে পারবে। তবে তুলনামূলকভাবে কম রেটে ওই পানি বাজারে বিক্রি হবে। এর ফলে রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।