খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির ডিসেম্বর মাসের সভা আজ (রবিবার) দুপুরে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ সভায় জানান, এপর্যন্ত খুলনা জেলায় প্রায় ১৫ লাখ মানুষকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ এবং পাঁচ লাখের অধিক মানুষকে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকার প্রথম ডোজ চলমান রয়েছে। তিনি ওমিক্রন প্রতিরোধে সকলকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান জরুরি ভিত্তিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো সংস্কার করার অনুরোধ করেন। প্রায় দুই হাজার দুইশত কিলোমিটারের ৫২২টি খাল ভরাট হয়ে গেছে, যেগুলো খনন করা হলে কৃষিক্ষেত্রে মিষ্টি পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত সকল সংস্কারযোগ্য বাঁধ ও পোল্ডার দ্রুত মেরামত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন।
খুলনা ওয়াসার প্রতিনিধি জানান, পানিশোধন প্রকল্পের আওতায় মধুমতি নদীর পানি পরিশোধনের মাধ্যমে বর্তমানে খুলনা শহরে ১ থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সকল এলাকায় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সমাজসেবা দপ্তরের উপপরিচালক খান মোতাহার হোসেন জানান বয়স্কভাতা, অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অওতায় সকল সেবা অনলাইনে প্রদান করা হচ্ছে। খুলনা জেলায় এপর্যন্ত অনলাইনে প্রায় ৫৭ হাজার আবেদন পড়েছে। এর মধ্যে ভাতা বরাদ্দ পাওয়া গেছে ৪৬ হাজার। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন ভাতার অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এর মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে।
নিরাপদ খাদ্য দপ্তরের প্রতিনিধি বলেন, খুলনা জেলা ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত মনিটারিং করা হচ্ছে। মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে খাদ্যসংশ্লিষ্ট ৮০ জনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
সভাপতি মাদকের বিস্তাররোধে উপজেলা পর্যায়েও মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। সঠিকমান বজায় রেখে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দেন জেলা প্রশাসক। তিনি সকল দপ্তরে ই-নথি প্রচলন ও ওয়েবপোর্টালগুলো হালনাগাদ করার নিদের্শনা দেন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি দপ্তরের প্রধান ও কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।