চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ ফেসবুকের মাধ্যমে আক্রমণাত্বক মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে অপমান ও অপদস্ত করার অভিযোগে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসএম মাহবুব উর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রশীদ বাদি হয়ে গত রোববার (১২ এপ্রিল) সাতক্ষীরা সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
আসামি এসএম মাহাবুব উর রহমান সাতক্ষীরা শহরের কাটিয়ার মৃত আব্দুর রউফ সরদারের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও বিত্তমান মানুষদের দেশের অসহায় ও দুস্থ্য মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এরই অংশ হিসেবে গত ৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনসুর আহম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ধুলিহর ইউনিয়নের ৩৫০টি পরিবারের মাঝে বাড়ি বাড়ি যেয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেন।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন স্থানীয় পত্রিকা ও কয়েকটি নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি তাদের ফেসবুক আইডিতে প্রচার করেন। তারই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম তার ফেসবুকে ৭ এপ্রিল রাত আটটা ২৭ মিনিটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদের অর্থায়নে ‘ধুলিহরে ৩৫০টি অসহায় পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ’ লিখে স্ট্যাটাসসহ ছবি আপলোড করেন।
একই দিনে রাত ১০টা ৩২ মিনিটে মো. রেজাউল করিম তার ফেসবুক আইডিতে “ধুলহরে আওয়ামী লীগ নেতার উদ্যোগ ৩৫০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ” ক্যাপশানসহ হ্যালো নিউজ ২৪ ডটকম নিউজ পোর্টালে একটি সংবাদ আপলোড করেন।
আসামী এসএম মাহাবুব উর রহমান আওয়ামী লীগ নেতার সফলতা ও সামাজিক কার্যক্রমে ঈর্ষা পরায়ণ হয়ে তার ও তার পরিবারের সুনাম নষ্ট করার জন্য ৭এপ্রিল রাতে উপরোক্ত স্ট্যাটাস দু’টিতে তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি মন্তব্য করেন।
ওই মন্তব্যে তিনি লেখেন, “ চেয়ারম্যান হওয়ার আশায় মুচি রশিদের আপ্রাণ চেষ্টা এ ত্রাণের অর্থ কি ধুলিহর আদর্শ হাইস্কুলের জামায়াত নেতাকে হেডমাষ্টার করার উৎকোচ এর অর্থ কি?” এই মন্তব্যের মাধ্যমে আসামী অভিযোগকারিকে মানহানি, সামাজিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৯(১) ধারায় গত রোববার এসএম মাহাবুব উর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার(২৬নং) তদন্তভার ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক হেদায়েত হোসেনকে দেওয়া হয়েছে।