দিঘলিয়া প্রেসক্লাবে শনিবার (০২ নভেম্বর) বিকাল ৫ টায় খুলনা জেলা বিএনপি নেতা ওয়াহিদুজ্জামান রানা সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন গত ১৯ অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক বঙ্গ পত্রিকায় তাকে জড়িয়ে অনিয়ম দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সাথে আঁতাত করে কার্যক্রম পরিচালনা করার যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে তার রাজনৈতিক কর্মময় জীবন ও সততার সাথে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, তিনি ছাত্র জীবন থেকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ,ফ্যাসিস্ট হাসিনা হটাও আন্দোলনে রাজপথে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য কথিত সাংবাদিক গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে এবং তিনি আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের জমি দখলসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগের সান্নিধ্যে থাকা মোশাররফ হোসেন ও তার পুত্র আবিদ আজাদের নেতৃত্বে তার বাহিনী দিঘলিয়া প্রেসক্লাবে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনার তিনি প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে উক্ত বিএনপি নেতার জীবননাশের হুমকি এবং ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে।
খুলনা জেলা বিএনপি নেতা ওহিদুজ্জামান রানা ১৯৮৮ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সেই থেকে অদ্য অবদি বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ে সুনামের সাথে ৩৫ বছর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি । এছাড়াও স্বৈরাচার হাসিনা সরকার আমলে একাধিকবার মামলা- হামলা ও জেল জুলুমের শিকার হয়েছি।
গত ৫ ই আগস্টের পর দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হওয়ায় আওয়ামী আমলের সুবিধাভোগী বর্তমান জাতীয়তাবাদী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে। তার এসব কাজে বাঁধা প্রদান করায় বাধা প্রদানকারীদের হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ পারভেজ সাজ্জাদ বাবলা, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্যা মনিরুজ্জামান, সেনহাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান, মোঃ জহিরুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কুদরতে ইলাহী স্পিকার, মনিরুল ইসলাম ভূট্টো, শহিদুল ইসলাম ছোট্ট, আঃ কাদের জনি, কে এম মোবারক হোসেন, শেখ মোঃ সাইফুল্লাহ, মোঃ আলী টুটুল, শেখ সোহেল, বাবুল হোসেন মন্টু, মাহাবুর আলম মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, মোল্যা লোকমান হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস খান, মোঃ খান মুরাদ, তৌহিদুল, সোহাগ প্রমুখ।