খুলনার রূপসায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বৃদ্ধা হালিমা বেগমকে (৬৫) ঘর উপহার দিয়েছেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মো. রেজাউল হক। গত ১৯ মার্চ ভোরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে পুড়ে যায় হালিমা বেগমের ঘরটি। তিনি রূপসার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তার হাতে এ উপহার তুলে দেন ডিআইজি মো. রেজাউল হক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনার রুপসা উপজেলার ২নং শ্রীফলতলা ইউনিয়নের পশ্চিম নন্দনপুর গ্রামে একটি টিনের ঘরে হালিমা বেগম (৬৮) বসবাস করতেন। আর্থিক দুরাবস্থার কারণে বিভিন্ন সময় মানুষের বাসায় ও অন্যের জমিতে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। গত ১৯ মার্চ সকালে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিটে সৃষ্ট আগুন লেগে তার একমাত্র সম্বল টিনের ঘরটি পুড়ে যায়। তখন থেকে তিনি খোলা আকাশের নিচে আর বৃষ্টি হলে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছিলেন।
বৃদ্ধা হালিমা বেগমের মানেবতর জীবনযাপনের ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তাৎক্ষণিক রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশনায় এবং খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টি, এম, মোশাররফ হোসেন এর তত্ত্বাবধানে বৃদ্ধ মহিলার নতুন ঘর তৈরি করার সকল ব্যবস্থা করা হয়।
বসত ঘরটি বসবাসের উপযোগী তৈরি করে ১৬ এপ্রিল নতুন ঘরটি তিনি দেখতে আসেন এবং বৃদ্ধ মহিলার সাথে কুশালাদি বিনিময় করেন।
হালিমা বেগম জানান, ‘বাসাবাড়িতে ও দিনমজুরের কাজ করে চলতাম। ঘরটা পুড়ে গেছে। ঠাঁই আছিলো না কোনো। খুলনা দিয়া পুলিশ স্যার আইসে আবার ঘর কইরা দিয়া গেছে আমারে। তার জন্য দোয়া করছি আমি।’
খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক বলেন, গত রমজান মাসে বৃদ্ধার ঘুর পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে দেখি বৃদ্ধা সহায়-সম্বলহীন। ঘরটি আর নির্মাণ করতে পারেননি। এটা জেনে খুব খারাপ লাগছিল। তাই ঘরটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে তাকে উপহার দিয়েছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, মো. রাফিউ, রূপসা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।