খুলনা জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপি ও অঙ্গ দলের চার নেতাকর্মী। রবিবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়। সন্ধ্যায় তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে এলে জেল গেটে তাদেরকে বরণ করে নেওয়া হয়।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শেখ জামিরুল ইসলাম জামিল, ১৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান সোহাগ, বিএনপি নেতা হেদায়েত হোসেন হেদু, জাহাঙ্গীর হোসেন, তাঁতীদল নেতা মোস্তফা। কারামুক্তদের জেল গেটে বরণ করে নেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এড. গোলাম মাওলা, সাদিকুর রহমান সবুজ, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ,
হাসানুর রশিদ মিরাজ, মোস্তফা কামাল, রবিউল ইসলাম রবি, ইসাহাক তালুকদার, সিরাজুল ইসলাম লিটন, আ. হাকিম, শামসুল বারী পান্না, মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, এড. শেখ জাকিরুল ইসলাম, মোল্লা আলী আহমেদ, ডা. হালিম মোড়ল, তরিকুল ইসলাম তুষার, রাজু মোল্লা, শামীম আশরাফ, হুমায়ুন কবির, ফারুক খান, সেলিম বড়মিয়া, মারফুল হক, হাফিজুর রহমান, তরিকুল আলম, পারভেজ মোড়ল, হারুন মোল্লা, মারুফ হোসেন প্রমূখ।
উল্লেখ্য, খুলনায় ২২ নভেম্বর সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার
জন্য বিদেশে নেয়ার দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালনে পুলিশ বাঁধা দিলে ব্যাপক সংঘর্ষ বাঁধে। অনুমতি না থাকার অজুহাতে পুলিশ রাস্তা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সকাল ও বিকেলে কয়েক দফা সংঘাত সৃষ্টি হয়। পুলিশের বেধড়ক লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও রাবার বুলেটে দুই শতাধিক রাজনৈতিক কর্মী আহত হন। এ সময় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পাঁচ সাংবাদিকও আহত হন। দফায় দফায় সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় খুলনা। আতঙ্ক ছড়ায় মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র এলাকায়। ঘটনার দিন বিকেলে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ উপরোক্ত পাচজনকে গ্রেফতার করে।– খবর বিজ্ঞপ্তি