চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসে সার্ভার ত্র“টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ গ্রাহকরা। যার ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা শত শত গ্রাহকরা পাসপোর্ট না করেই ফিরে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল অফিস থেকে সার্ভার ত্র“টির সমাধানের জন্য জনবল এসেছেন। গত দুইদিন ধরেই চলছে এ অবস্থা। এদিকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশী পাসপোর্ট করতে না পারে সেজন্য ‘রোহিঙ্গা সফটওয়্যার ইনস্টল’ কার্যক্রম চলছে। এর ফলে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমেই খুব সহজেই রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করা যাবে। খুব দ্রুতই এ ব্যবস্থা কার্যকর হতে যাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে নগরীর নূরনগরস্থ পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে একাধিক পাসপোর্ট আবেদনকারীর সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত সোমবার থেকেই সকল প্রকার আবেদনপত্র জমা নেওয়া বন্ধ রয়েছে। তবে গতকাল দুপুরের পর থেকে পাসপোর্টের নতুন আবেদনপত্র জমা নিলেও পাসপোর্ট রি-ইস্যুর কোন আবেদন জমা নেওয়া হয়নি। এমনকি পাসপোর্ট সরবরাহ কাউন্টারে গিয়েও কোন আবেদনকারী পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আবেদনকারী জানান, পাসপোর্ট আবেদনপত্রের বিভিন্ন ত্র“টির কারণে প্রথমে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো সংশোধন করার পর জানানো হয়েছে, সার্ভার ত্র“টির কারণে আবেদনপত্র গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দাবি, খুলনার আশেপাশের অনেক উপজেলা থেকে প্রতিদিন শত শত আবেদনকারী পাসপোর্ট অফিসে বিভিন্ন ধরণের সেবা নিতে আসেন। কোন প্রকার বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই হঠাৎ করেই এমন বিড়ম্বনায় পড়েছে গ্রাহকরা। অনন্ত আঞ্চলিক পত্রিকায় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন দিলেও ভোগান্তি হতো না।
তবে পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানিয়েছে, গত সোমবার খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের লোকাল সার্ভার ক্রুটি দেখা দেয়। যা খুব দ্রুত সমাধান করার জন্য সেন্ট্রাল থেকে জনবল এসেছে। কিন্তু গতকাল পাসপোর্টের সেন্ট্রাল সার্ভারে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে সেন্ট্রালের সাথে সংযুক্তকরণের কাজগুলো করতে সমস্যা দেখা দেয়।
তবে সূত্রটি জানিয়েছেন, পাসপোর্টের নতুন আবেদনকারীদের ফরম গতকাল থেকে জমা নেওয়া হয়েছে। কারণ এর সাথে সেন্ট্রালের কোন সংযুক্তকরণ নেই। তবে পাসপোর্ট রি-ইস্যুর আবেদন জমা নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি যেসকল পাসপোর্ট গত রবিবার পর্যন্ত সার্ভারের মাধ্যমে রিসিভ করা হয়েছে শুধুমাত্র সেগুলোই সরবরাহ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান সময়ের খবরকে বলেন, গত দুইদিন লোকাল ও সেন্ট্রাল সার্ভারের ত্র“টির কারণে পাসপোর্টের বিভিন্ন কার্যক্রমে সমস্যা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেন্ট্রাল থেকে জনবল এসেছে। আশাকরা যাচ্ছে এটি সমাধান হবে।
রোহিঙ্গা সফটওয়ার ইনস্টলের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে। সফটওয়ারে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের তথ্য থাকবে। যার ফলে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সনাক্ত করা যাবে। তিনি আরও বলেন, আজ বুধবার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সোহায়েল হোসেন খান খুলনায় আসছেন। তিনি যশোরের বেকআপ সার্ভার পরিদর্শন করবেন।