খুলনা বিভাগে একদিন পর আবারও বেড়েছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ১০ জেলায় ৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগেরদিন শনিবার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৩২ জনের। সেই তুলনায় রোববার (১৬ জানুয়ারি) করোনা শনাক্ত হয়েছে দ্বগুণের বেশি।
রোববার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, খুলনা বিভাগের করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৮৯ জন। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা যশোরেই ৪০ জন শনাক্ত হয়েছে। আর খুলনায় ২৫ জন, ঝিনাইদহে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরে তিন জন করে এবং সাতক্ষীরায় দুই জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়া, বাগেরহাট ও মাগুরায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি।
স্বাস্থ্য বিভাগের ওই প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ২৯৩ জন। আর মোট মারা গেছেন ৩ হাজার ১৯৫ জন।
শনাক্ত সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৮ হাজার ১২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যায় সবচেয়ে কম মাগুরায় ৪ হাজার ১৬১ জন।
এছাড়া করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। এই জেলায় মারা গেছে ৮০৯ জন। আর মৃতের সংখ্যায় সবচেয়ে কম সাতক্ষীরায় ৮৮ জন।
খুলনা ২০০ শয্যা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, রোববার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের ইয়েলো জোনে ১৪ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে খুমেকের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে ১৩৫ জন খুলনা মহানগরী ও জেলার। সব মিলিয়ে ১৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। যার মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১৬ জন এবং সাতক্ষীরার একজনের শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে শনিবার খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার রাজবংশী, আরিফুল ইসলাম ও দেবাশীষ বসাক। এসময় মাস্ক না পড়াসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় করায় মোট ৩৪টি মামলায় ৩৪ জনকে ৮ হাজার ১৭০ টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অনীহা, একস্থানের মানুষ অন্য স্থানে যাতায়াত, যথাযতভাবে মাস্ক না পড়াসহ বিভিন্ন কারণে সংক্রমণ বাড়ছে। চলতি মাসের শুরু থেকে খুলনায়ও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। জেলায় ৮ থেকে ৯ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চললে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।