অনলাইন ডেস্কঃখুলনান মহাগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধিন ফারাজীপাড়া বিকে রায় রোডের বাসিন্দা ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছেন। প্রেমের প্রস্তাবের কথা বলে ৬ বন্ধু মিলে ধর্ষন করে ওই স্কুল ছাত্রীকে। এসময় আরও তিনজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। সেখানে ধর্ষনের চিত্র ভিডিও ধারনও করা হয়েছিল। এঘটনায় গতকাল রবিবার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০’র ৯(৩)/৩০ ও পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে (নং-২২)। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকীরা এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে। ধর্ষনের শিকার ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো বিহারী কলোনীর সুলতান আহমেদের ছেলে নুরুন্নবী আহমেদ (১৮), পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে রাব্বি হাসান ওরফে পরশ (২১), বসুপাড়া এতিমখানা এলাকার মোঃ শেখ হোসেনের ছেলে শেখ শাহাদাৎ (২০) ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে মাহামুদ হাসান ওরফে আকাশ (২১)। এছাড়া পলাতক রয়েছে কথিত প্রেমিক শান্ত বিশ্বাস, নুরানী মাদ্রাসা গলির দিয়ান (১৯), আজাদ লন্ড্রী মোড়ের প্রীতম (২৩), বিহারী কলোনীর বেলায়েতের ছেলে মঈন হোসেন ওরফে হৃদয় (২০) ও মোকাদ্দেস কসাইয়ের ছেলে মিম বিশ্বাস (২৩)।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মমতাজুল হক জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ফারাজীপাড়া বিকে রায় রোডে ১৪বছর বয়সের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। ভিকটিমের বক্তব্য মতে এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। ভিকটিমকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, শান্ত বিশ্বাস নামের এক যুবক ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব ও প্রলোভন দেখিয়ে ১৬৫, বিহারী কলোনীস্থ নুরুন্নবী আহমেদ’র ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপর সেখানে শান্ত বিশ্বাস, প্রিতম, মঈন ওরফে হৃদয়, শাহাদাৎ, নুরুন্নবী ও মিম বিশ্বাস ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করে। ইতোমধ্যে ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।