বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমীর মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বৃক্ষ জীবজগতের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত।
বৃক্ষের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের সম্পর্ক। আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বৃক্ষ সমস্ত প্রাণীর খাদ্য যোগান দেয়। বিশাল এ প্রাণীজগৎকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন দেয়। সেই সাথে প্রাণীজগৎকে বিপন্নকারী কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে। বন্যা, খরা, ঝড় নিয়ন্ত্রণ করে বৃক্ষ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। রাসূল (সা.) নিজে গাছ লাগিয়েছেন, সাহাবায়ে কেরামকে গাছ লাগাতে ও বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বৃক্ষরোপণকে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বৃক্ষ থেকে মানুষ, পশু-পাখি যখন খাদ্য গ্রহণ করে, তখন তা রোপণকারীর জন্য সদকা হিসেবে পরিগণিত হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)। সুতরাং বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব যে অপরিসীম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাংলাদেশের এক ভয়াবহ সমস্যা। কিন্তু শুধুমাত্র গাছ লাগানোর মাধ্যমে এই বিপর্যয় রোধের পাশাপাশি আরো লাভবান হওয়া সম্ভব। পরিবেশের ক্ষতিকর দিক থেকে রক্ষা পেতে এবং সবুজ- শ্যামলিমায় ভরে তুলতে বেশী করে গাছ লাগাতে হবে। এতে করে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি দেশ আর্থিকভাবেও লাভবান হবে। সার্বিক দিক বিবেচনায় প্রতি বছরই জামায়াতে ইসলামী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করে থাকে। তিনি প্রত্যেক জনশক্তি ১টি করে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ এবং প্রত্যেক ১টি করে চারা বিতরণ করবেন ঘোষণা দেন।
খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শুক্রবার (২২ জুলাই) নগরীতে বৃক্ষরোপন অভিযান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপন উদ্বোধনকালে সভাপতির বক্তব্যে ওলানা আবুল কালাম আজাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী নায়েবে আমীর মাস্টার শফিকুল আলম, সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, সহকারী এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, অফিস সেক্রেটারি মীম মিরাজ হুসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন খুলনা মহানগরী সভাপতি মু. আজিজুল ইসলাম ফারাজী, দৌলতপুর দক্ষিণ থানা আমীর মুহা. ফোরকান উদ্দীন মিঠু, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি জাহিদুর রহমান নাঈম, জামায়াত নেতা মোশাররফ হোসেন আনসারী, মুস্তাফিজুর রহমান টিংকু, ডা. সাইফুজ্জামান প্রমূখ।